নিজস্ব প্রতিবেদন : ট্রাফিক আইন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আগেই ই-চালান অ্যাপ চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই অ্যাপ দেশের ২৬টি রাজ্যের রাজ্য সরকার ব্যবহার করছে। আর এবার এই অ্যাপ চালু হলো পশ্চিমবঙ্গেও। রাজ্যে এই অ্যাপ চালু হওয়ায় ট্রাফিক আইন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে। ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারি চালকেরা এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বেশ কতকগুলি সুবিধা পাবেন।
১) কোন চালক ট্রাফিক সিগনাল, পার্কিং নিয়ম, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো সহ একাধিক ট্রাফিক আইন ভাঙ্গলে তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশ এই অ্যাপের মাধ্যমে কেস ফাইল করতে পারবেন।
২) এই অ্যাপে খুব তাড়াতাড়ি কার্ড সোয়াইপ এবং ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। এই ব্যবস্থা চালু হলে ফাইন দেওয়ার জন্য কোনরকম ঝক্কি বহন করতে হবে না আইনভঙ্গকারী চালকদের।
৩) এই অ্যাপ সম্পূর্ণ জিপিএস নির্ভর। যে কারণে কোনো চালক কোথায় নিয়ম ভঙ্গ করছেন তা এই অ্যাপ তৎক্ষণাৎ জানতে পারবে এবং সেই ভিত্তিতে কেস ফাইল হবে।
৪) এই অ্যাপের সাথে যুক্ত রয়েছে দেশের প্রতিটি গাড়ির ডেটাবেস। যে কারণে দেশের যেকোনো গাড়ির তথ্য সহজেই পেয়ে যাবেন ট্রাফিক পুলিশরা। পাশাপাশি কোন গাড়ির বিরুদ্ধে কোথায় কতগুলি অভিযোগ রয়েছে তাও নিমেষে জানা যাবে।
৫) এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে আইনভঙ্গকারী কোন গাড়ির চালক অথবা গাড়ির নথি বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজন হবে না। কেবলমাত্র গাড়ির নম্বর দিয়ে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন ট্রাফিক সার্জেন্টরা।
৬) এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় গাড়ির চালকদের গাড়ির নথিপত্র গাড়ির সাথে রাখার প্রয়োজন নেই। ডিজি লকার বা অন্য কোন ডিজিটাল মাধ্যমে গাড়ির নথিপত্র রাখা হলে সেই নথি দেখেই ট্রাফিক পুলিশ অথবা সার্জেন্টরা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। আইন ভঙ্গ করা হলে ডিজিটাল সিজার হবে। সেখানে ফাইন দিয়ে সেই নথি ছাড়াতে পারবেন অথবা গাড়ির মালিকরা। কাগজ নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে পড়তে হবে না।
৭) এই অ্যাপে খুব তাড়াতাড়ি যুক্ত হতে চলেছে ই-কোর্ট। এর ফলে যে সকল গাড়ির কেস আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে সেগুলিও এই মোবাইলের মাধ্যমে সমাধান হবে। যার ফলে আর গাড়ির মালিক অথবা চালকদের আদালত যেতে হবে না।
প্রসঙ্গত, আপাতত এই ই-চালান অ্যাপ কলকাতা পুলিশ পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে শুরু করেছে। এই অ্যাপের ব্যবহার করবেন কেবলমাত্র পুলিশরাই। আগামী দিনে এই অ্যাপ রাজ্যের সর্বত্র চালু হবে। আর এই অ্যাপ চালু হওয়ার সাথে সাথে একাধিক সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ।