নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন কার্ড (Ration Card) ভারতের যে কোন রাজ্যের নাগরিকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই রেশন কার্ড থাকার কারণে লকডাউন অথবা করোনাকালে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী পেয়েছেন নাগরিকরা। রেশন কার্ডের ব্যবহার যখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ডিজিটাল রেশন কার্ডের মত নিয়ে এসেছে ই-রেশন কার্ড (E Ration Card)।
রাজ্য সরকারের এই ই-রেশন কার্ড নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন, এর ব্যবহার কোথায় করা যাবে? কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে এই ই-রেশন কার্ডে? এই নিয়েই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নতুন ঘোষণা করা হলো। রাজ্য সরকারের এই নতুন ঘোষণায় সুবিধা বাড়ছে আপনার-আমার প্রত্যেকের।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ রেশন কার্ডের মতই ব্যবহার করা যাবে এই ই-রেশন কার্ড। রেশন তোলা থেকে অন্যান্য বিভিন্ন কাজে কোন রকম অসুবিধা হবে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য খাদ্য দপ্তর তাদের সোশ্যাল মাধ্যমে বেশ কিছু তথ্য পোস্টার আকারে আপলোড করেছে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য।
১) ই-রেশন কার্ড খাদ্য দপ্তরের ছাপানো রেশন কার্ডের মতই বৈধ।
২) এই রেশন কার্ড দেখিয়ে উপভোক্তারা রেশন দোকান থেকে ন্যায্য মূল্যের খাদ্যসামগ্রী পাবেন। কেরোসিন তেল নেওয়ার আগে দোকান ঠিক করার জন্য একবার খাদ্য পরিদর্শক অফিসে যেতে হবে।
৩) জেনারেল ই-রেশন কার্ড যাদের রয়েছে তারা ভর্তুকিতে খাদ্য সামগ্রী বা কেরোসিন তেল পাবেন না।
৪) ই-রেশন কার্ড যাদের রয়েছে তাদের রেশন কার্ডের সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে আধার কার্ড লিঙ্ক থাকা প্রয়োজন।
৫) যেসকল উপভোক্তারা ই-রেশন কার্ড পেয়েছেন তাদের অবিলম্বে তাদের ওই ই-রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করিয়ে নিতে হবে। রেশন দোকান, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র অথবা যে কোন খাদ্য পরিদর্শক অফিসে এই লিঙ্ক করানো যাবে।
৬) ই-রেশন কার্ড মোবাইলের মাধ্যমে রেশন ডিলারকে দেখানোর পর ওই রেশন ডিলার তার ই-পস মেশিনে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে যাচাই করে নেওয়ার পর তার প্রাপ্য রেশন সামগ্রী উপভোক্তার হাতে তুলে দেবেন।
৭) বায়োমেট্রিকে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে কোন অসুবিধা হলে মোবাইল নম্বরে ওটিপি পাঠিয়ে যাচাই করে প্রাপ্য রেশন সামগ্রী উপভোক্তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
৮) প্রয়োজন পড়লে এই ই-রেশন কার্ড প্রিন্ট করে নেওয়াও যেতে পারে।
— Department of Food and Supplies, Government of WB (@wbdfs) November 13, 2021
৯) এই ই-রেশন কার্ডের বৈধতা যাচাই করা যাবে www.wb.gov.in/RCVerification.aspx পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে।