Donkey Milk Business: ১ লিটার দুধ বেচে আয় ৭ হাজার টাকা! মাসেই ২-৩ লক্ষ টাকা রোজগার সোলাঙ্কির

Earn thousands of rupees per month by doing Donkey’s Milk Business: বর্তমানে চাকরির যা অবস্থা তাতে করে কম-বেশি সকলেই ছোট বড় নানা ধরনের ব্যবসা করতে শুরু করেছে। তবে সব ব্যবসায় লক্ষ্মী লাভের সুযোগ হয় না। কিন্তু এমন এক ব্যবসা রয়েছে যে ব্যবসায় প্রতি মাসে আয় হয় লাখ লাখ টাকা। যার প্রত্যক্ষ উদাহরণ গুজরাটের পাটানের বাসিন্দা সোলাঙ্কি। যিনি গাধার দুধ বেচে (Donkey Milk Business) মাসে রোজগার করেন দুই থেকে তিন লাখ টাকা। চাইলে আপনিও শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। ব্যবসা যদি দাঁড়িয়ে যায় তাহলে পিছন ফিরে তাকাতে হবে না।

গরুর দুধ, মোষের দুধ, ছাগলের দুধ বিক্রির কথা অনেক শুনেছেন। তবে গাধার দুধের ব্যবসার (Donkey Milk Business) কথা শুনে আতকে উঠেছেন নিশ্চয়ই? ভাবছেন গাধার আবার দুধের ব্যবসা করা যায়? হ্যাঁ, যেটা করে দেখালেন গুজরাটের এই ব্যক্তি। জানলে অবাক হবেন বাণিজ্যিক বাজারে অন্যান্য পশুদের দুধের তুলনায় গাধার দুধের চাহিদা প্রচুর। সেই অনুযায়ী তার দুধের দামও অন্যদেরর তুলনায় প্রায় ৭০ গুণ বেশি।

গুজরাট রাজ্যের বাসিন্দা ধীরেন সোলাঙ্কি। যার মাথায় আসে এই গাধার দুধের ব্যবসার কথা। কিন্তু হঠাৎ এই ভাবনা কেন? সেই উত্তরে সোলাঙ্কি সাহেব জানান, গাধার দুধ ব্যবসার আগে তিনি সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অনেক চেষ্টাও করেছেন কিন্তু সফল হয়নি। পেয়েছিলেন বেসরকারি চাকরি। যাতে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। সেই চাকরি করার সময়ই তিনি খবর পান গাধা প্রতিপালনের বিষয়ে। তিনি জানতে পারেন দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রচুর গাধার প্রতিপালন হয় অর্থাৎ সেখানে গাধার চাহিদা প্রচুর। পরবর্তীতে এই বিষয়ে আশেপাশের কিছু অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করেন ধীরেনবাবু। তারপর শুরু করেন গাধা দুধের ব্যবসা।

আরও পড়ুন 👉 SSC Jobless Salary: চাকরি গেলেও চাপ নেই! এসএসসির চাকরি হারাদের বেতন নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের

প্রথমে ২২ লাখ টাকার বিনিময়ে ২০টি গাধা নিয়ে শুরু করেন এই ব্যবসা। চালু করেন একটি খামার। সেখানে গাধাদের প্রতিপালন করেন। তবে ব্যবসার প্রথম সময়টা খুব একটা ভালো ছিল না। ব্যবসা শুরুর প্রথম ৫ মাস কোনো লাভের মুখ দেখেননি ধীরেনবাবু। কারণ হলো গাধার দুধের চাহিদার অভাব। গুজরাটে সেরকমভাবে গাধার দুধের চাহিদা ছিল না। পরবর্তীতে তিনি ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য আরো কসরত করেন। দক্ষিণ ভারতের যেসব জায়গায় দুধের চাহিদা রয়েছে সেখানকার বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেন। তারপরই তার ব্যবসায় অন্ধকার কেটে আলো আসে। যা তিনি নিজেই জানিয়েছেন। তার কথায়, তিনি কর্ণাটক, কেরল রাজ্যে ক্লায়েন্টদের এই দুধ সাপ্লাই দেন। যেসব ক্লায়েন্টদের এই দুধ বেচেন তাদের মধ্যে রয়েছে অনেক কসমেটিক্স সংস্থা। কারণ এই গাধার দুধ দিয়ে বিভিন্ন কসমেটিক্স তৈরি হয়।

যেখানে তার গ্রামে লিটার প্রতি গরু দুধের দাম ৬৫ টাকা। সেখানে তিনি অন্য রাজ্যে গাধার দুধ বিক্রি (Donkey Milk Business) করে লিটার প্রতি আয় করেন ৫০০০-৭০০০ টাকা। দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বিভিন্ন সংস্থায় এই গাধার দুধ বেচে সোলাঙ্কি বাবুর মাসিক আয় হয় প্রায় ২-৩ লাখ টাকা। বর্তমানে প্রায় ৪২টি গাধার মালিক তিনি। এই ভাবেই চলছে তার এই ব্যবসা। মাথায় রাখবেন যেকোনো ব্যবসা শুরু করলেই হয় না। বুঝেশুনে চাহিদা দেখে তবেই ব্যবসা শুরু করতে হয়। তবেই সেখান থেকে লাভের মুখ দেখা যায়।