Earthquake Notification: ভূমিকম্প হল এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা নিমেষের মধ্যে ধ্বংস করে দেয় অনেক কিছু। মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং পাশাপাশি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। যদি অনেক আগে থেকেই ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাওয়া যেত তাহলে বাঁচানো সম্ভব হতো অনেক সম্পদ। যেহেতু আগে থেকে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা সেভাবে পাওয়া যায় না তাই ধ্বংস হয়ে যায় বহু জিনিস। মঙ্গলবার তিব্বত নেপাল সীমান্তে ভূমিকম্পের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু যদি ঘরে বসেই পাওয়া যায় ভূমিকম্পের আগাম খবর তাহলে কেমন হয়? স্মার্টফোনে ভূমিকম্পের সতর্কতা পাওয়ার জন্য একটি ছোট্ট সেন্সর থাকে। আজকের প্রতিবেদনে এইটাই হলো আলোচ্য বিষয়।
যেকোন মানুষ ঘরে বসে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা (Earthquake Notification) পেতে চাইলে পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সেটি চালু করতে পারে। এর ফলে সাধারণ মানুষ পেয়ে যাবে আগাম কম্পনের সতর্কতা। নিশ্চয়ই ভাবছেন এও কি সম্ভব? কথাটি একেবারেই সত্যি, বর্তমানে প্রযুক্তি এতদূর এগিয়ে গেছে যে মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না। এই আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই ঘরে বসে জানতে পারবেন ভূমিকম্পের আগাম বার্তা। ফলে মানুষ সেভাবেই সাবধানতা অবলম্বন করতে পারবে।
আজকাল বেশিরভাগ মানুষ ব্যবহার করে থাকে স্মার্টফোন এবং এই স্মার্টফোনে আগে থেকে ফিট করা থাকে একসিলেরোমিটার। এর মাধ্যমে অনুভব করা সম্ভব ভূমিকম্পের কম্পন।একটি সেন্ট্রাল সার্ভার থেকে সিগন্যাল পাঠানো হয় কম্পনের এলাকাগুলিতে। যার ফলে ভূমিকম্পের সর্তকতা (Earthquake Notification) সম্পর্কে সেই সব এলাকার বাসিন্দারা আগে থেকেই জানতে পারে। খুব সহজেই যে নোটিফিকেশন চালু করা সম্ভব হবে সেটা কিন্তু নয়, বরং এর জন্য অনুসরণ করতে হবে বেশ কিছু পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন:Hero Motocorp: ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাজিমাত হিরোর, পিছনে পড়ল কারা
ভূমিকম্পের আগাম সর্তকতা (Earthquake Notification) পেতে হলে কি করতে হবে জেনে নিন বিস্তারিতভাবে এই প্রতিবেদনে। আপনার যদি অ্যান্ড্রয়েড ফোন থাকে তাহলে প্রথমে সেটিংস অ্যাপ খুলতে হবে। তারপর সেফটি অ্যান্ড এমার্জেন্সি বিভাগে গিয়ে আর্থকুইক অ্যালার্ট অপশনটি চালু করে দিতে হবে। যদিও আইফোনের ক্ষেত্রে স্টেপসগুলো অন্যরকম, প্রথমে সেটিংসে যেত হবে। তারপর সেখান থেকে যেতে হবে নোটিফিকেশন অপশনে এবং একেবারে শেষে এমার্জেন্সি অ্যালার্ট অপশনটি চালু করে দিতে হবে। যদি দুটি অপশনের কোনোটি না থাকে তাহলে অ্যান্ড্রয়েডে প্লে স্টোর অথবা অ্যাপলে অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে মাই শেক অ্যাপ। সেখানে গিয়ে অ্যাপকে ব্যবহারকারীর লোকেশন ট্র্যাক করার অনুমতি দিতে হবে। ৪.৫-এর বেশি কম্পনের মাত্রা গেলেই অ্যাপটি সতর্ক করে দেবে ব্যবহারকারীকে।
লক্ষ্য করে দেখবেন যে, গুগলের তরফে দেওয়া ভূমিকম্পের সতর্কতা বার্তা মূলত দুইভাবে কাজ করে। যখনই তিন বা চার কম্পনের মাত্রা হয় তখনই সতর্কতা বার্তা দেওয়া হয়। অবশ্য কম্পন এর মাত্রা বেড়ে গেলে অন্যরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবার সকালে শহর কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় এবং উত্তরবঙ্গে কম্পন অনুভূত হয়। বিশেষ করে কম্পন অনুভব করা গেছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর এবং শিলিগুড়িতে। কম্পনের সূত্রপাত নেপালে। নেপাল এই তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছ’ টা নাগাদ। সূত্র মারফত জানা গেছে যে, কম্পনের উৎসস্থল লেবুচে থেকে ৯৩ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে নেপাল-তিব্বত সীমান্তে।