Earthquakes can happen suddenly, so be careful beforehand: নেপালের জোরালো ভূমিকম্প (Earthquake) আবার পুরনো ভয়ংকর স্মৃতির রোমন্থন করল। ২০২৩ সালে পরপর তিনবার ভূমিকম্পের সম্মুখীন হল ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল। শুক্রবার রাতে যে ভূমিকম্প হয়েছে রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৪। বিধ্বংসী এই ভূমিকম্পের প্রভাব শুধুমাত্র নেপালে নয়, দিল্লি NCR, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারেও পড়েছিল যথেষ্ট পরিমাণে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিধ্বংসী ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই বলছে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। এমনকি ভারতবাসীকেও তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
বর্তমানে ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র হল একটি সক্রিয় শক্তি নির্গমণ ক্ষেত্র। ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির প্রাক্তন অধ্যাপক এবং ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অজয় পাল বলেছেন এই কারণেই এত ঘন ঘন ভূমিকম্প (Earthquake) হচ্ছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে নেপালের দোতিতে ৬.৩ রিখটার স্কেল মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। ঘটনাটির ফলে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অজয় পাল অবশ্য আরো বলেছেন যে, নেপালের শুক্রবার দিন রাত্রিবেলা শুধুমাত্র একটি নয় পরপর কম্পন অনুভূত হয়েছিল। একই এলাকায় আফটারশক হয়েছে। যে অংশে ভূমিকম্পের কম্পন উপলব্ধ হয়েছে সেটি নেপালের এক্কেবারে মধ্যবর্তী অংশ এবং কিছুটা পশ্চিম ঘেঁষে থাকা। এই বিষয়ে কি বলেছেন বিশেষজ্ঞরা? সাধারণ মানুষকে প্রস্তুত এবং সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প হতে পারে হিমালয় এলাকায়।
বারবার ভূমিকম্প(Earthquake)হওয়ার পিছনের আসল কারণটা কি? অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ বলছেন, ভারতীয় টেকটনিক প্লেট এবং ইউরেসিয়ান প্লেটের ক্রমাগত সংঘর্ষের ফলে পরিস্থিতি খুবই ভয়ানক। ভারতের এই টেকটনিক প্লেট ক্রমশ উত্তর দিকে সরছে। এই কারণেই যেকোনো সময় ভূমিকম্পের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আনুমানিক চার থেকে পাঁচ কোটি বছর আগে ভারত মহাসাগরে ভারতীয় প্লেট উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে ইউরেসিয়ান প্লেটের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ঠিক সে সময়ই সৃষ্টি হয় হিমালয় পর্বতের।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলেছেন যে, ভারতীয় টেকটনিক প্লেট এখনও উত্তরদিকে আস্তে আস্তে করে অগ্রসর হচ্ছে। ইউরেসিয়ান প্লেটের সঙ্গে এখনও তার সংঘর্ষ তৈরি হচ্ছে। এর ফলে হিমালয়ের পাদদেশে ক্রমশ ভয়ংকর চাপ তৈরি হচ্ছে। সেই চাপই হল কম্পনের প্রধান কারণ। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, যেকোনো সময় রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রা ভূমিকম্প হতে পারে। কিন্তু এই ভূমিকম্প কবে হবে তা এখন অব্দি বলতে পারতে না বিজ্ঞানীরা।