নিজস্ব প্রতিবেদন : একসময় মানুষের চাহিদা বলতে যা যা ছিল তার মধ্যে একটি হলো মাথা গোজার ঠাঁই। তবে এখন এই মাথা গোজার ঠাঁই কতটা আকর্ষণীয় হতে পারে তা নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। এই সকল প্রতিদ্বন্দিতার বাজারে দেখতে দেখতে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছপালা। তবে এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের গাছের প্রতি আলাদা ভালোবাসা রয়েছে। সেই রকমই গাছের প্রতি ভালোবাসার পরিচয় দিলেন পূর্ব বর্ধমানের এক পুলিশ কর্মী।
পূর্ব বর্ধমানের ওই পুলিশকর্মী হলেন অরিন্দম পাল। তিনি হাওড়ার দাস নগর থানার একজন পুলিশ কর্মী এবং তার অধিকাংশ সময় ওই থানাতেই কাটে। এই পুলিশকর্মী যেভাবে একটি নারকেল গাছকে বাঁচিয়ে নিজের দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন তা দেখে এখন এলাকার বাসিন্দা থেকে গাছপ্রেমীরা সাধুবাদ জানাচ্ছেন। পাশাপাশি ওই পুলিশকর্মীর পরিকল্পনা মাফিক এইভাবে বাড়ি তৈরি করা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা।
অরিন্দম পাল নামে ওই পুলিশকর্মীর এমন দোতলা বাড়িটি রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের দেনুরের দাউকাডাঙায়। জানা যাচ্ছে এই নারকেল গাছটি তার দাদু লাগিয়েছিলেন এবং ছোট থেকে তিনি দেখে আসছেন। এখন বাড়ি তৈরি করার সময় তিনি সেই নারকেল গাছটি কাটতে চাননি এবং নারকেল গাছটি রেখেই দোতলা সুন্দর বাড়ি বানিয়েছেন।
গাছ না কেটে এভাবে বাড়ি তৈরি করার জন্য তিনি ওই নারকেল গাছের গোড়া সুন্দরভাবে বাঁধিয়ে দিয়েছেন এবং যে দিক দিয়ে নারকেল গাছটি উঠছে সেই জায়গায় ছাদ পরিকল্পনামাফিক ফাঁকা রেখেছেন। একতলা দোতলা করে ওই নারকেল গাছটি উপরে উঠে গিয়েছে। এতে বাড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রেও কোন অসুবিধা হয়নি আবার গাছটিরও প্রাণ বেঁচে গিয়েছে।
বর্তমান আধুনিকতার বাজারে মূল্যায়ন হিসেবে একটি দোতলা বাড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রে একটি নারকেল গাছের গুরুত্ব নেই বললেই চলে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যেভাবে ওই পুলিশকর্মী এই কাজ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।