নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের সাথে তৃণমূলের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছে যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছেড়ে একে একে বিজেপিতে নাম লেখান শুভেন্দু অধিকারী, সৌমেন্দু অধিকারীর এবং বাবা শিশির অধিকারী। তবে এখনো তৃণমূলেই রয়েছেন অধিকারী পরিবারের অন্যতম এক সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারি। এবার তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজ্য কমিটির সুপারিশ করলো জেলা নেতৃত্ব। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ।
দিব্যেন্দু অধিকারি বিরুদ্ধে জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের সময় সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তমলুকের এই সাংসদ। যে কারণে ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরেই জেলার নেতৃত্ব রাজ্য কমিটিকে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে। অন্যদিকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচিত হওয়ার পর এই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব দিব্যেন্দু অধিকারি বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুপারিশ জানালেও রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে পদক্ষেপ গ্রহণের আগে আগেপিছু ভাবতে হচ্ছে। কারণ, সাংসদ হিসেবে দিব্যেন্দু অধিকারীর মেয়াদ এখনো তিন বছর বাকি রয়েছে। এই অবস্থায় তাকে যদি দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাহলেও তিনি সহজেই নিজের সাংসদ পদ বজায় রাখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সাংসদ পদ বজায় থাকলেও তিনি তৃণমূলের কোন হুইপ মানতে বাধ্য হবেন না।
[aaroporuntag]
অন্যদিকে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল রাজ্যে ২২টি লোকসভা আসনে জয়লাভ করলেও বর্তমানে তাদের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২০। আবার অন্যদিকে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ থেকে ২০ তে। কারণ ইতিমধ্যেই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল এবং কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। সেই জায়গায় যদি এখন দিবেন্দু অধিকারের নাম নিজেদের সাংসদ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে বিজেপির থেকে পিছিয়ে পড়তে হবে। আর এই সকল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগামী দিনে দিব্যেন্দু অধিকারি বিরুদ্ধে তৃণমূল কি পদক্ষেপ নেয় তাই এখন দেখার।