Eastern Railway earned 12 crore rupees just in 3 months: ভারতীয় পরিবহন ব্যবস্থার মূল ভিত রেল পরিষেবা। এই রেল পরিষেবাকে ঘিরে চলছে ভারতীয়দের একাধিক কাজকর্ম। প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার ট্রেন যাতায়াত করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। যাত্রী পরিষেবা দেওয়া হয় প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষকে। যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকে একাধিক নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। রেল পরিষেবা শুধুমাত্র পরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে নয় অনেকে একে নিজের রুজি রোজগারের জায়গা হিসেবেও বেছে নিয়েছেন। তাই সেসব দিকেও খেয়াল রাখতে হয় রেল কর্তৃপক্ষকে। অবাক করা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে পূর্ব রেল (Eastern Railway) কর্তৃপক্ষ। তাদের কর্মকাণ্ডে রেল কর্তৃপক্ষ তো বটেই সাধারণ মানুষও হতবাক এবং একই সাথে আনন্দিত।
রীতিমতন রেকর্ড করে ফেলেছে পূর্ব রেল (Eastern Railway) কর্তৃপক্ষ। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ঘটে গেছে অবাক করা ঘটনা। সম্প্রতি ২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১২ কোটি টাকা আয় করেছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। কিভাবে এই ঘটনা সম্ভব হলো আন্দাজ করতে পারেন? শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক খরচ কমিয়ে এই উপার্জন করেছে রেল। সম্প্রতি এই তথ্য সামনে এনেছেন পূর্ব রেলের এক আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন পূর্ব রেলের তরফ থেকে ট্র্যাকশন এবং নন ট্র্যাকশন বৈঠকে খরচ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের হিসাবের পর দেখা গেছে ৩ মাসে ১২ কোটি টাকার বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সক্ষম হয়েছে পূর্ব রেল।
ভারতীয় রেল পরিষেবায় কলকাতার পূর্ব রেলের (Eastern Railway) ভূমিকা অপরিহার্য। যেকোনো অবিস্মরণীয় কাজে পূর্ব রেলের নাম আগে উঠে আসে। এইবারেও তার অন্যথা হয়নি। বিদ্যুৎ বাঁচানোর ক্ষেত্রেও পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ তাক লাগিয়ে দিয়েছে সমগ্র রেল পরিষেবা ব্যবস্থাকে। পূর্ব রেলের সেই আধিকারিক জানিয়েছেন, এই কাজের জন্য ৩ ফেজ লোকোমোটিভের সাহায্য নিয়েছে পূর্ব রেল। বিদ্যুৎ সংরক্ষণের জন্য ১ প্রকার বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে ৩ ফেস লকোমোটিভের মাধ্যমে। এর ফলে বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে ১০,৯৮৪,৮১৪ ইউনিট। বিদ্যুৎ খরচ কম হলে, আর্থিক খরচের পরিমাণটাও কমে যায়। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রায় ৮.০৬ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে পূর্ব রেল।
পূর্ব রেলের মুখপাত্র কৌশিক মিত্র এই বিদ্যুৎ সঞ্চয় সম্পর্কে জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরে বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করার চেষ্টা চলছিল। ট্র্যাকশন এবং নন ট্র্যাকশন উভয় ক্ষেত্রেই শক্তি সঞ্চয় করার অর্থাৎ কম শক্তি খরচে কাজ করার চেষ্টা চলাচ্ছিল পূর্ব রেল (Eastern Railway) ফলাফল আমাদের সামনে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রায় ১২ কোটি টাকা আয় করতে সক্ষম হয়েছে পূর্ব রেল। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ খরচ বাঁচিয়ে এই আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন আগেই অর্থাৎ ২০২৪ এর জুন মাসে ৫১ টি ৩ ফেজ লোকোমোটিভের পরিবর্তন করা হয়। এর ফলে ১ মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে ২,৫৮৩,৬৪০ ইউনিট। অর্থাৎ ১ মাসে বিদ্যুতের বিল বাঁচানো সম্ভব হয়েছে প্রায় ১.৯৪ কোটি টাকা।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, জোনাল রেল নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে বিদ্যুৎ বাঁচানোর জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো হয়েছে রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে। শুধুমাত্র এপ্রিল ও মে মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্য দিয়ে প্রায় ৭৭ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। অবশ্য এই কাজে জন্য বেশ কিছু ছাড়ও দিতে হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে। বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের জন্য এমন কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রেল যার ফলে সব দিক থেকেই সাশ্রয়ের মুখ দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। একদিকে যেমন আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে তেমনি কমছে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণও। ৮৭৪ টি ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। এর ফলে ৩.৩২ কোটি টাকার দ্রুত গতি সম্পন্ন ডিজেলের সাশ্রয় হচ্ছে।