নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান করোনাকালে মানুষ আতঙ্কের কারণে অযথা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। শুধু আতঙ্ক নয় পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে এমনটাই অনুরোধ করা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতির কারণে প্রতিনিয়ত কমছে গণপরিবহণের যাত্রীসংখ্যা। আর এই পরিস্থিতিতে ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে ১৯টি মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন অস্থায়ীভাবে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলো রেল। মূলত গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যাপ্ত যাত্রীসংখ্যা না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কবে থেকে এই ট্রেনগুলি বাতিল করা হবে তা এখনও জানানো হয়নি।
যাত্রী সংখ্যা কম থাকার কারণে ট্রেন বাতিল করার কথা আগেই বলা হয়েছিল পূর্ব রেলের তরফ থেকে। আর এই ঘোষণা মত যে সকল ট্রেনগুলি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে আটটি রয়েছে হাওড়া থেকে, বাকিগুলি রয়েছে শিয়ালদা কলকাতা মালদা এবং ভাগলপুর থেকে।
যে সকল ট্রেনগুলি বাতিল হতে পারে
হাওড়া থেকে রামপুরহাট স্পেশ্যাল, হাওড়া থেকে রাঁচি শতাব্দী স্পেশ্যাল, হাওড়া থেকে দানাপুর স্পেশ্যাল, আসানসোল থেকে হলদিয়া স্পেশ্যাল, শিয়ালদহ থেকে রামপুরহাট স্পেশ্যাল, ভাগলপুর থেকে আজমের স্পেশ্যাল, হাওড়া-রামপুহাট স্পেশ্যাল, হাওড়া থেকে আজিমগঞ্জ স্পেশ্যাল, কাটোয়া থেকে আজিমগঞ্জ স্পেশ্যাল, হাওড়া থেকে আসানসোল স্পেশ্যাল, কলকাতা থেকে লালগোলা স্পেশ্যাল, হাওড়া থেকে সিউড়ি স্পেশ্যাল, নবদ্বীপ থেকে মালদহ টাউন স্পেশ্যাল, ভাগলপুর থেকে মুজফফরপুর স্পেশ্যাল, মালদহ থেকে দিল্লি স্পেশ্যাল, মালদহ থেকে কিউল স্পেশ্যাল, আসানসোল থেকে টাটা স্পেশ্যাল, হাওড়া থেকে শান্তিনিকেতন স্পেশ্যাল এবং আসানসোল থেকে দিঘা স্পেশ্যাল।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর পূর্ব রেলের একাধিক রেলকর্মীকে করোনা আক্রান্ত হতে লক্ষ্য করা যায়। যার পরেই কর্মীর অভাবে একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল হয়। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মেল এবং স্পেশাল ট্রেন বাতিল হওয়ার খবরে গণপরিবহণের মেরুদন্ড ভেঙে পড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।