বীরভূম: গত ২ সেপ্টেম্বর ছিল কৌশিকী অমাবস্যা। কৌশিকী অমাবস্যায় বীরভূমের তারাপীঠে লাখ লাখ পুণ্যার্থীদের আগমন হয়ে থাকে। অন্যান্য বছরের মত এই বছরও লাখ লাখ পুণ্যার্থীরা এসেছিলেন। আর এই সকল পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোথাও যেন কোনরকম অসুবিধা না হয় তার জন্য রেলের তরফ থেকে স্পেশাল ট্রেন চালানো হয়েছিল। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলেছিল ওই স্পেশাল ট্রেনগুলি।
রেলের তরফ থেকে এমন স্পেশাল ট্রেন চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন পুণ্যার্থীরা সহজেই তারাপীঠে তারা মায়ের দর্শন করার সুযোগ পান এবং বাড়ি ফিরে আসেন নিশ্চিন্তে, ঠিক সেই রকমই এই সকল স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে বিরাট লক্ষ্মী লাভ (Railway Profit on Kaushiki Amavasya) হয়েছে রেলেরও। তিন দিনের মধ্যে এক দিনের হিসেবেই লাখ লাখ টাকার আয় হয়েছে রেলের।
স্পেশাল ট্রেন ছাড়াও অন্যান্য যে সকল ট্রেনগুলি রোজকার যাতায়াত করে থাকে সেই সকল ট্রেনগুলিতেও প্রচুর পরিমাণে টিকিট বিক্রি হয়েছে এই বছর। গতবছরের তুলনায় টিকিট বিক্রির সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে বলেই জানা গিয়েছে রেল সূত্রে। স্বাভাবিকভাবেই রেলের কৌশিকী অমাবস্যায় লক্ষ্মী লাভ অনেকটাই বেড়েছে গত বছরের তুলনায়।
চলতি বছর কৌশিকী অমাবস্যায় অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বর টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৫৩৬৪ টি। গত বছর কৌশিকী অমাবস্যা পড়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বর। ঐদিন টিকিট বিক্রি হয়েছিল ১২৫৯৫ টি। অর্থাৎ এই বছর গত বছরের তুলনায় প্রায় তিন হাজার টিকিট বিক্রি বেড়েছে। টিকিট বিক্রির বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে আয়ের পরিমাণও। গত বছরের তুলনায় এই বছর রেলের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ২৪.৪৩ শতাংশ। গত বছর রেলের আয় হয়েছিল ৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৬৪০ টাকা, সেই জায়গায় এই বছর আয় হয়েছে ৯ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬০ টাকা।
কৌশিকী অমাবস্যায় এমন ব্যাপক যাত্রী চাহিদা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক আর সেই স্বাভাবিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকে রামপুরহাট রেলস্টেশনে টিকিট বুকিং করার জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা করে রেখেছিল। খোলা হয়েছিল অতিরিক্ত পাঁচটি ইউটিএস কাউন্টার, চারটি এটিভিএম মেশিন। এছাড়াও রেলের তরফ থেকে অন্যান্য যাবতীয় সমস্ত রকম বন্দোবস্ত করেছিল যাতে করে যাত্রীদের কোনরকম অসুবিধা না হয়। এমনকি এবার কৌশিকী অমাবস্যায় সাধারণ মানুষদের থেকে রেলের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি।