নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা (Corona) সংক্রমণ এড়াতে বর্তমানে কেবল মাত্র দুটি ক্ষেত্রে চলছে লকডাউন (Lockdown)। একটি হলো স্কুল কলেজের পঠন পাঠন এবং অন্যটি হলো লোকাল ট্রেন (Local Train)। এর মধ্যে আবার স্কুল-কলেজের পঠন পাঠন পুনরায় চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নির্দেশমতো আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে স্কুল কলেজ। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এবার লোকাল ট্রেন চালু হবে?
লোকাল ট্রেন হল সাধারণ মানুষের গনমাধ্যমের লাইফ লাইন। কিন্তু সংক্রমণের বিষয়টিকে নজরে রেখে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকার লোকাল ট্রেন পুনরায় চালু করার মতো সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তবে রেল দপ্তর পুনরায় লোকাল ট্রেন চালু করার পরিপ্রেক্ষিতে ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোন রকম ইঙ্গিত এখনো দেওয়া হয়নি।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অক্টোবর মাসের জন্য করোনা সংক্রান্ত যে বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে সেই বিধি-নিষেধেও আপাতত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের কোন সবুজ সঙ্কেত নেই। তবে পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা কেবলমাত্র সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছেন। নবান্ন থেকে সেই সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হলেই চালু হয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গের লাইফ লাইন।
পূর্ব রেলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুনরায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার জন্য রেল দপ্তর সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। প্রস্তুতি মত এর আগেও একাধিকবার রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে পুনরায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার আবেদন করা হয়েছিল। তবে রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কোন রকম উত্তর না দেওয়ায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়নি। এখন স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়ার পর যদি পুনরায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্মতি দেয় তাহলে চালু হবে লোকাল ট্রেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়ার পরেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে ‘লোকাল ট্রেন কবে চলবে?’ এর পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়াদের বড় অংশের মধ্যে একটি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, ‘ট্রেন চলাচল না করলে তাঁরা গন্তব্যে পৌঁছবেন কী করে?’ এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেরই দাবি, ‘আমাদের কলেজ অথবা স্কুল ঘরের পাশে নয়। যাতায়াতের জন্য ট্রেনের উপরই ভরসা করতে হয়। এমত অবস্থায় যদি ট্রেন চালু না হয় তাহলে যাওয়ার জন্য অন্য কোনো উপায়ও নেই।’
স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়ার পর বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মনে করছেন রাজ্য সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করবে তাতে হয়তো স্বাস্থ্যবিধি মেনে লোকাল ট্রেন পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে সম্মতি দিতে পারে। আবার অনেকেই মনে করছেন, পুনরায় যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তার দিকে তাকিয়ে আগামী দিনেও লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকতে পারে।