এখনও বাকি ৭ বিধানসভা উপনির্বাচন, কবে হবে, ইঙ্গিত দিলো কমিশন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হলেও, পুনরায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসলেও তার মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ ধরে রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। কারণ তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত প্রার্থী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীত্বের। এই পরিস্থিতিতে আইন অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে কোন একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে হবে। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গের উপ-নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisements

Advertisements

পশ্চিমবঙ্গ ২৯৪ বিধানসভা আসন বিশিষ্ট রাজ্য হলেও শেষ নির্বাচনে দুটি আসনে ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়নি প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে। পরে আরও একাধিক কেন্দ্র বিধায়ক শূন্য হয় বিভিন্ন কারণে। বর্তমানে রাজ্যে সাতটি আসনে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। এই সাতটি আসনে কবে উপ নির্বাচন হবে তার দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা এবং নেতা-নেত্রীরা।

Advertisements

পশ্চিমবঙ্গে যে সকল বিধানসভা কেন্দ্র এখনো বিধায়ক শূন্য রয়েছে সেই সকল বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল জঙ্গিপুর, সামসেরগঞ্জ, দিনহাটা, ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবা। এগুলির মধ্যে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে ভোট হয়নি প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয়ী হলেও তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ওই আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে দেন। অন্যদিকে দিনহাটা এবং শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন দুই বিজেপি সাংসদ, যারা পরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। অন্যদিকে খড়দহ এবং গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রের দুই তৃণমূল বিধায়ক মারা যায় এই বিধানসভা কেন্দ্র দুটিও বিধায়ক শূন্য হয়ে পরে।

এই সকল বিধানসভা কেন্দ্রে খুব তাড়াতাড়ি ভোট করা যেতে পারে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুক্তি হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কমিশন খুব তাড়াতাড়ি এই সকল বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন, নবান্ন সূত্রে খবর এমনটাই জানা যাচ্ছে। উপনির্বাচনের বিষয়ে নবান্নের প্রস্তাবের সবুজ সংকেত মিলেছে নির্বাচন কমিশন থেকে। নির্ধারিত ৬ মাসের মধ্যেই উপনির্বাচন হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

Advertisements