বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর এখন আরও এক কান্ড মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে আর তা হল দুর্নীতি। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের টাকা পয়সা তছনছ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যে অভিযোগের তদন্তে নেমে সিবিআই ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আর জি কর দুর্নীতির (RG Kar Scam) টাকা সরাতে অনুব্রত, জ্যোতিপ্রিয়র মতই একই পথ বেছে নিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তিনি নতুন কিছু করেননি।
নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু পাচার, রেশন দুর্নীতি প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে টাকা সরানোর জন্য বেছে নেওয়া হয় শেল কোম্পানি। নিজেদের ঘনিষ্ঠদের নামে সেই সকল কোম্পানি খুলে সব ক্ষেত্রেই অন্যত্র টাকা সরানোর অভিযোগ উঠেছে। ঠিক একই ভাবে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে ভুয়ো সংস্থা খুলে টাকা সরানো হয়েছে আরজি কর দুর্নীতির ক্ষেত্রেও। ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযানে নেমে এমন একাধিক সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন।
নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতির মতই আরজি কর দুর্নীতিতে এখনো পর্যন্ত ৮ থেকে ১০টি ভুয়ো সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে ইডি সূত্রে। এই দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত করার পাশাপাশি এখন তদন্ত শুরু করেছে ইডি। ইতিমধ্যেই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক ভুয়ো সংস্থার খোঁজ মিলেছে।
সন্দীপ ঘোষ সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরিপ্রেক্ষিতে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে সেই তথ্যের ভিত্তিতে সল্টলেকে তল্লাশি চালায় ইডি। আর সেখান থেকে খোঁজ পাওয়া যায় একাধিক শেল কোম্পানির। যে সকল ভুয়ো সংস্থাগুলির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে সেগুলি সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ ও নিকটস্থ আত্মীয়দের নামে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও একাধিক ডিরেক্টরের নাম পাওয়া গিয়েছে।
আরজি কর দুর্নীতি মামলায় যে সকল টাকা পয়সা সরানোর অভিযোগ উঠেছে সেগুলি এই সকল ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই সরানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য এখনো পর্যন্ত তারা এই সকল সংস্থায় জড়িত তাদের সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে, আশা করা হচ্ছে অন্যান্য দুর্নীতি মামলার মতই নাম প্রকাশ পাবে সংস্থার ডিরেক্টরদের।