নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন দুর্নীতি (Ration Corruption) মামলায় বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahaman) পর রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) গ্রেপ্তার হতেই কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসছে অজগর। তবে ইডি আধিকারিকরা বালুকে নিয়ে রীতিমতো ফ্যাসাদে পড়েছেন একটি কারণে। সেই ফ্যাসাদের কারণে কেলেঙ্কারির কোটি কোটি টাকা কোথায় গেল তা খুঁজে বের করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৈরি করছে নতুন নতুন তালিকা। আর এই তালিকার বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমত ঘুম উড়ছে বালু ঘনিষ্ঠদের।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়ে ইডি আধিকারিকরা তন্ন তন্ন করে তল্লাশি আর জিজ্ঞাসাবাদ করে নিজেদের হেফাজতে নেন মন্ত্রীকে। এরপরই মন্ত্রীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস মিলতে শুরু করে। এরই মধ্যে এবার নাম জড়াতে শুরু করে একের পর এক বালু ঘনিষ্ঠদের।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত কাজ ঠিকঠাক করলেও ইডির প্রশ্নে একেবারেই স্পিকটি নট। যে কারণেই ইডি আধিকারিকরা ফ্যাসাদে পড়েছেন এবং এমন পরিস্থিতিতেই ইডি আধিকারিকরা রেশন দুর্নীতির কিনারা করতে এমন একটি তালিকা তৈরি করেছেন যে তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন পুরসভা এলাকার অন্তত ৮০ জন কাউন্সিলর।
শুধু ৮০ জন কাউন্সিলর এই তালিকায় রয়েছেন এমন নয়, এর পাশাপাশি সূত্র জানা যাচ্ছে, এই তালিকায় এবার যুক্ত হচ্ছে খাদ্য দপ্তর বালু ঘনিষ্ঠ আধিকারিকদের নামও। রেশন দুর্নীতিতে এই সকল আধিকারিকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে চাইছে ইডি এবং তার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সম্পর্কেও বিভিন্ন তথ্য তারা হাতে পেতে চাইছে।
অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত যতদূর তদন্ত এগিয়েছে সেই তদন্তে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস এবং বর্তমান আপ্ত সহায়ক অমিত দে বেশ কিছুটা সাহায্য করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। তাদের থেকেই পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ কারা কারা ছিলেন এবং কারা দেখা করতেন ইত্যাদি নানান তথ্য।