নির্দোষ বললে কি হবে! রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে উঠে আসছে বালুর নয়া কীর্তি

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে (Ration Corruption) গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন। শুধু নিজেকে নির্দোষ দাবি করা নয়, এর পাশাপাশি তিনি একবার দাবি করেছেন ‘মমতাদি, অভিষেক ব্যানার্জি সব জানেন’। আবার তখনই দাবী করতে দেখা যাচ্ছে, চারদিন পরেই তিনি মুক্ত হয়ে যাবেন। চারদিন পরে যখন মুক্তি মিলল না তখন আবার ৭ দিন পর দেখা হবে বলেও দাবি করেছেন।

Advertisements

মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সোমবার পুনরায় ইডি হেফাজতে পাঠানো হলেও অনেকটাই সিনেমার স্টাইলে তাকে সাত দিন পরে মুক্তি পাবেন বলে দাবি করতে দেখা যায়। অন্যদিকে নিজেকে বারবার নির্দোষ বলে দাবি করলেও কিন্তু নতুন নতুন ঘটনা রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলছে বালুকে। বিরোধীদের তরফ থেকে তো আবার দাবি করা হচ্ছে, নিজেকে নির্দোষ বলে লাভ নেই। কেননা তাদের দাবি, বালুর নতুন নতুন কীর্তি এখন ফাঁস হচ্ছে।

Advertisements

প্রথম দফায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি মেরুন ডায়েরি। যেখানে নাকি দুর্নীতির বিভিন্ন টাকা লেনদেন সম্পর্কিত নানান তথ্য রয়েছে। তবে এই একটি মেরুন ডায়েরিতে শেষ হয়ে যায়নি বালুর কীর্তি। কেননা ইডির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, অভিজিতের থেকেই আরও তিনটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সকল ডায়েরি থেকে নাকি প্রচুর নথি সংগ্রহ করা হয়েছে।

Advertisements

এদিকে আবার অভিজিৎ দাস সোমবার রীতিমত বোমা ফাটিয়েছেন। কেননা যে দুটি সংস্থায় তার মা এবং স্ত্রী ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন সেই দুটি সংস্থায় তাদের ডিরেক্টর করা হয়েছিল মন্ত্রীর নির্দেশেই। তবে অভিজিতের থেকেই উদ্ধার হওয়া ডায়েরির পালা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। এর পাশাপাশি ইডি আধিকারিকরা উত্তর ২৪ পরগনার মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর থেকে আরও একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন। সেখানেও নাকি দুর্নীতির রেশনের চাল ডাল আটা কেনার হিসাব রয়েছে।

এই ডায়েরীতে আবার যে সকল তথ্য রয়েছে তা রেশন দুর্নীতি মামলার বড় হাতিয়ার বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা এই ডায়েরিতে উল্লেখ রয়েছে কত টাকায় খাদ্য সামগ্রী কেনা হতো এবং কোন কোন ব্যবসায়ী এই সকল দুর্নীতির খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করতেন। পাশাপাশি তালিকায় একাধিক প্যাকেজিং সংস্থার নাম রয়েছে। এর পাশাপাশি জেরার মুখে নাকি ওই ব্যবসায়ী স্বীকার করে নিয়েছেন এক দশক ধরে তিনি এই ধরনের কাজ করতেন। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে ওই ডাইরিতে ১০ জনের নাম রয়েছে এবং গোটা নেটওয়ার্কের মাস্টারমাইন্ড নাকি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisements