ইডির মোক্ষম দাওয়াই! মহা ফ্যাসাদে রুজিরা! তৈরি হচ্ছে নানান আশঙ্কা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডের তদন্তে প্রথম থেকেই উঠেপড়ে লাগতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডিকে। এবার এই দুর্নীতি মামলার তদন্তে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ইডি (ED)। বিভিন্ন জায়গায় তাদের তরফ থেকে হানা দেওয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। আর এবার সেই রকমই রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rujira Naroola Bandopadhyay) দুটি গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Advertisements

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা তাদের হাতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর থেকে পাওয়া নথি অনুসারে ২১ আগস্ট বেলা ১১ টার পর থেকে ১৮ ঘন্টা তল্লাশি চালায় নিউ আলিপুরের পি ব্লকে থাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে। সেখানে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ইডির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই সংস্থার জন্ম থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ডিরেক্টর ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

Advertisements

ঐদিন অর্থাৎ ২১ আগস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে হানা দেওয়ার পর যে সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে রুজিরার দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট। এছাড়াও ইডির তরফ থেকে যে সকল জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে দুটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক। তিনটি ডেস্কটপ কম্পিউটার খতিয়ে দেখার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে সিজার লিস্ট অনুযায়ী।

Advertisements

এছাড়াও আরও বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে বাজেয়াপ্ত করা নথিগুলির মধ্যে অন্যতম হলো মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখায় থাকা রুজিরার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট। আবার ওই একই ব্যাংকের আর একটি শাখা অর্থাৎ এলাহাবাদের শাখার অ্যাকাউন্টের ১৪২ পাতার স্টেটমেন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

অন্যদিকে এসবের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে সংস্থার কর্মীদের প্রফেশনাল ট্যাক্স সংক্রান্ত নথি। এছাড়াও জানা যাচ্ছে, এই সংস্থার নতুন নাম হওয়ার আগে নাম ছিল অনিমেষ ট্রেড লিঙ্ক। পরে এই সংস্থাটি কিনে নেওয়া হয় এবং তার নাম দেওয়া হয় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। সংস্থা কেনাবেচা সংক্রান্ত নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এর পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আলিপুর এবং বিষ্ণুপুরে নথিভূক্ত হওয়া বেশ কিছু জমির দলিল। এর পাশাপাশি জমি দান থেকে শুরু করে সংস্থার বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি এবং স্টেটমেন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে এই ঘটনার পরই সংস্থার এক কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি অধিকারীদের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ, সংস্থার কম্পিউটারগুলি ইডি আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণাধীনে ছিল এবং সেই সময় ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা হয় যেগুলি কোনভাবেই সংস্থার সঙ্গে সংযুক্ত নয়।

Advertisements