নিজস্ব প্রতিবেদন : তীব্র তাপপ্রবাহে এখন নাজেহাল অবস্থা। শুধু পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা এমন নাজেহাল তা নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও এইরকমই নাজেহাল অবস্থা চলছে। এই নাজেহাল অবস্থার মধ্যেই আবার গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি। আবার বর্ষা (Monsoon) এই বছর ঢুকতে দেরি করায় আরও এক অশান্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মূলত বর্ষা দেরিতে ঢোকার ফলে তৈল বীজ বপণে দেরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভোজ্য তেলের (Edible Oil) দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতেই কেন্দ্রের তরফ থেকে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো। আর সেই নতুন পদক্ষেপ সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিল। স্বস্তি দিলো মূলত পরিশোধিত সয়াবিন (Soyabean oil) ও সূর্যমুখী (Sunflower oil) তেলের আমদানি শুল্ক কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে। ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্র সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে আগামী দিনে দেশীয় বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ বেড়াতে সাহায্য করবে এবং ভোজ্য তেলের দাম অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমনিতেও গত কয়েক মাস আগে যেভাবে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল সেই তুলনায় এখন ভোজ্য তেলের দাম অনেক কমে গিয়েছে। এরপরে আরও ভোজ্য তেলের দাম কমলে ভাজাভাজির খরচ কমবে এবং স্বস্তি ফিরবে মধ্যবিত্তদের হেঁসেলে।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্ক ১৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। সাধারণত অপরিশোধিত সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় এবং তারপর তা দেশে পরিশোধিত করা হয়।
ভোজ্য তেল আমদানি করার ক্ষেত্রে নতুন এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে ১৫ জুন থেকে। আমদানি শুল্ক কমানোয় এখন পরিশোধিত ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক ১৩.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। নতুন এই পদক্ষেপের ফলে বিদেশ থেকে পরিশোধিত তেলের আমদানি উৎসাহ পাবে এবং দেশীয় ক্ষেত্রে উৎপাদকদের ক্ষতি হবে বলেও মনে করছেন অনেকেই।