নিজস্ব প্রতিবেদন : যেভাবে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছে তাতে স্কুলে গরমের ছুটি (Summer Vacation WB School) এগিয়ে না এনে উপায় নেই। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত মঙ্গলবার তড়িঘড়ি নবান্নে মুখ্য সচিব বি পি গোপালিকের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। আর এরপরই মোটামুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গরমের ছুটি এগিয়ে আনার।
বৈঠকের পর এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গরমের ছুটি নিয়ে ঘোষণার পরই বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে গরমের ছুটি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেয়। যেখানে আগামী ২২ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি পড়বে বলে জানানো হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি স্কুলগুলিকেও গরমের ছুটি এগিয়ে আনার অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গরমের ছুটি শুরু হওয়ার দিন ঘোষণা হলেও কবে পুনরায় স্কুল খুলবে সেই বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে কিন্তু কিছু জানানো হয়নি। অনির্দিষ্টকালের জন্যই স্কুল বন্ধ থাকার ঘোষণা করা হয়েছে। এমন অবস্থায় আগের ঘোষণা অনুযায়ী যদি ২ জুন পুনরায় স্কুল খুলে তাহলে রবিবার ও অন্যান্য ছুটি মিলিয়ে টানা ৪১ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। আর এতেই চিন্তায় শিক্ষক মহলের একাংশ। শিক্ষক মহলের একাংশের পাশাপাশি চিন্তিত অভিভাবকদেরও বড় অংশ।
শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের এমন চিন্তার কারণ হলো সিলেবাস। টানা এতদিনের ছুটির পর কিভাবে পরবর্তী সেমিস্টার বা পরীক্ষার জন্য সিলেবাস শেষ হবে তা নিয়েই চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হলেও পরবর্তীতে বাড়তি ক্লাস নিয়ে সিলেবাস শেষ করতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। অতিরিক্ত ছুটির জন্য যাতে পড়ুয়াদের ক্ষতি না হয় সেই বিষয়টির উপর নজর রাখতে হবে শিক্ষক মহলকে।
চলতি বছর টানা এতদিনের ছুটির পিছনে অবশ্য কেবলমাত্র গরম দায়ী নয়, এর পিছনে আবার রয়েছে ভোট। ১৯ এপ্রিল দেশজুড়ে প্রথম দফা ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের সূচনা হয়ে গেলেও পরবর্তীতে আরও ছয় দফা ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু ৭ দফায় ভোট গ্রহণ হবে তাই এমনিতেই নিয়ম অনুযায়ী স্কুল বন্ধ থাকবে ভোটের আগে থেকেই। ফলে এই বছর গরমের পাশাপাশি ভোটের কারণে স্কুল সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে।