The education department is going to publish books for the new syllabus of HS: ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। এই বছর থেকে চালু হতে চলেছে একাদশ শ্রেণির জন্য সেমিস্টার পদ্ধতি। পরীক্ষা পদ্ধতি, সিলেবাস সবকিছুই আলাদা। তাই এর জন্য প্রয়োজন নতুন বই। সংসদের পক্ষ থেকে ক্লাস শুরু হবার আগেই নতুন সিলেবাসের বই (Books for New Syllabus) তৈরি করার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। সঠিক সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রকাশকদের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর।
সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে একাদশ শ্রেণির জন্য নতুন শিক্ষা পদ্ধতির ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ শ্রেণির পঠন পাঠন চলবে সেমিস্টার পদ্ধতিতে। এর জন্য পাঠক্রম থেকে শুরু করে সময়সীমা সবকিছুই পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু নতুন পদ্ধতি বা নতুন পাঠক্রমকে কার্যকর করতে গেলে প্রয়োজন নতুন পাঠক্রম অনুযায়ী প্রকাশিত বই। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
আগামী একমাস অর্থাৎ ২২শে এপ্রিলের মধ্যে পড়ুয়াদের হাতে নতুন বই (নতুন সিলেবাসের বই (Books for New Syllabus) ) তুলে দিতে চায় শিক্ষা দপ্তর তাই প্রকাশকদের তার আগেই বই তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জিব ভট্টাচার্য বলেন, সেমিস্টার পদ্ধতিটি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন তাই তারা ধাপে ধাপে এগোতে চাইছেন। একাদশ শ্রেণীর প্রথম সেমিস্টারের বই ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে প্রকাশকদের। যাতে পরবর্তী বইগুলো তৈরি (Book Publish) করার জন্য প্রকাশকরা কিছুটা সময় হাতে পান।
আরও পড়ুন ? Higher Secondary New Syllabus: ২৪ পেলেই পাশ, বদলে গেল উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস, দেখে নিন নতুন সবকিছু
তবে শুধু সময় নয় বইয়ের মান কেমন হবে সে বিষয়েও বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। একদিকে যেমন ২২ শে এপ্রিলের মধ্যে বই প্রকাশের (Books for New Syllabus) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রকাশকদের তার পাশাপাশি বইয়ের নকশা, আকার, মান কেমন হবে তা নিয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বইয়ের পাতার পাতার মান ভালো হতে হবে, সুদৃশ্য হতে হবে। প্রত্যেকটি বইয়ের শেষের দুটি পৃষ্ঠায় মডেল প্রশ্ন দেওয়া থাকবে। এছাড়া প্রথম সেমিস্টারের জন্য প্রতিটি বিষয়ের বইয়ে কতগুলি করে পাতা থাকবে তার পরিমাণও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গীয় শিক্ষক-শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সভাপতির মতে, এই সিদ্ধান্তটি আরো অনেক আগে নেওয়া উচিত ছিল সংসদের। এখন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে ইচ্ছা থাকলেও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠতে চলা শিক্ষার্থীরা নিজেদের পড়াশোনা এগিয়ে রাখতে পারছে না নতুন বইয়ের অভাবে। তাদেরকে সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।