Bed Performance: শিক্ষকদের ‘Bed Performance’-এ ক্ষিপ্ত শিক্ষা দপ্তর! নেওয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

Antara Nag

Published on:

Advertisements

The Education Department is taking disciplinary action against the ‘Bed Performance’ of the teachers: এমন কোন দিন শুনেছেন যে চাকরিরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হঠাৎ করে বেতনে টান পড়েছে? না না এই টান অভাবের নয়। এই টানে দায়ী সরাসরি সরকার। শুনে অবাক লাগছে? এ কেমন ব্যাপার! আসলে এসব আজব ঘটনা ঘটতে পারে একমাত্র বিহারে। আর বিহারে আজব এই ঘটনাবলীর জন্য বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে আসছে বিহার। এবারেও তার অন্যথা হয়নি।

Advertisements

একটি চিঠি বদলে দিয়েছে এক শিক্ষকের ভাগ্য। আমরা সাধারণত ছোটবেলা থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাত ধরে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাই উন্নতির দিকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারাই একজন ছাত্র-ছাত্রী থেকে প্রকৃত মানুষ গড়ে তুলতে সক্ষম হন। প্রতিটি ছাত্রছাত্রী তার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অনুকরণ করার চেষ্টা করেন। তবে সেই শিক্ষকই যদি ভুল বানান (Bed Performance) লেখেন বা সেই শিক্ষকের শিক্ষাতেই যদি গলদ থেকে যায়, তবে তার ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে শিখবে! এরকমই এক প্রশ্নের মুখে পড়লেন বিহারের এক শিক্ষক।

Advertisements

ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের জামুই জেলাতে। এক শিক্ষা দপ্তরের শিক্ষক তার চিঠিতে খারাপ শব্দের ইংরেজি ‘Bad’ বানানটি ভুল লেখেন। তিনি ‘Bad’ এর পরিবর্তে ‘Bed’ বানানটি লেখেন। এই চিঠিটি তৎক্ষণাতে হইচই ফেলে দেয় শিক্ষা মহলে। চিঠিটিকে ঘিরে শিক্ষা দপ্তরে প্রবল সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই শিক্ষককে চূড়ান্ত অপমানিত হতে হয় এবং এর সাথে সাথে বিহারের মূল শিক্ষা দপ্তর শিক্ষা সংস্থাগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে।

Advertisements

কোনরকম নোটিশ জারি না করে তারা বিভিন্ন শিক্ষা দপ্তরে গিয়ে হঠাৎ করে হাজির হন। বেশ কিছু শিক্ষা দপ্তরে শিক্ষা ব্যবস্থায় গাফেলতি সামনে আসে। বেশ কিছু শিক্ষা দপ্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনুপস্থিত থাকে এবং কয়েক জায়গায় ভুল শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই কারণগুলি ওপর ভিত্তি করে প্রায় ১৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়ুন ? PEN Card: Aadhaar, PAN কার্ড অতীত! রাজ্যে এসে গেল নতুন কার্ড, মিলবে এই সকল সুবিধা

জেলা শিক্ষা আধিকারিক রাজেশ কুমারকে এই বিষয়টি জানানো হলে তিনি কোন রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। তবে যে সমাজ শিক্ষকদের ওপর নির্ভরশীল সেই সমাজের পোক্ত ভীত হিসেবে শিক্ষকদের এই ভুল সত্যিই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের ৩৭৫৮ নম্বর স্মারকলিপিতে যে সংশোধনী ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা অনুযায়ী পরবর্তীতে সংশোধন করা হয়।

তবে ধিক্কার জানানো হচ্ছে সেই শিক্ষককে যে, একটি মাত্র চিঠিতে প্রায় ১৪ টির উপর বানান ভুল লেখেন। একজন শিক্ষক যে কিনা ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়ে তবেই স্কুলে শিক্ষকতা করতে আসছেন, তার এত বড় ভুল কিভাবে হচ্ছে সেটি প্রশ্ন করছে অভিভাবক অভিভাবিকারা।

Advertisements