নিজস্ব প্রতিবেদন : গতকাল অর্থাৎ বুধবার থেকেই রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি (School Summer Vacation) এগিয়ে আনা হবে এমন জল্পনা শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিল শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হলো। যেভাবে বাংলা জুড়ে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে তাতে এই ছুটি পড়ুয়াদের উপকারে আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সমতলের জেলাগুলিতেও পাল্লা দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখা যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই গরম বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্য খুব একটা ভালো নয় আর সেই কথা মাথায় রেখে গত বুধবার ব্রাত্য বসু গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার কথা জানিয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে গরমের ছুটি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হল।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে যে গরমের ছুটি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, সোমবার অর্থাৎ আগামী ২২ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি শুরু হয়ে যাবে। কেবলমাত্র দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ে স্কুল খোলা থাকবে। এমনিতে ৬ মে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল। চলতি বছর আগেই গরমের ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন প্রশ্ন ২২ এপ্রিল থেকে স্কুল গরমের ছুটিতে বন্ধ হলে ফের কবে তা খুলবে?
আরও পড়ুন ? Summer Weather Update: সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁবে ৪৩°! পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর দক্ষিণবঙ্গের এই ৫ জেলার
গরমের ছুটি নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তিতে ২২ এপ্রিল থেকে সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করা হলেও তা ফের কবে খুলবে তা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল। স্বাভাবিকভাবেই স্কুল কবে খুলবে তা স্পষ্ট নয়।
এর আগে ভোটের কারণে এই বছর ৬ মে থেকে গরমের জন্য স্কুল বন্ধ হওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল। ভোটের জন্য স্কুল টানা বন্ধ রেখে তা পুনরায় ২ জুন খোলা হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই ছুটি এগিয়ে এনে ২২ এপ্রিল থেকে শুরু করা হলেও পুনরায় স্কুল খোলার ঘোষণা যেহেতু করা হয়নি তাতে অনেকেই মনে করছেন, ২ জুনের আগেই স্কুল খুলে যেতে পারে। আবার ভোটের কথা মাথায় রেখে মনে করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিল থেকে স্কুল ছুটি হলেও তা পুনরায় খুলতে পারে সেই ২ জুন। যদি এমনটা হয় তাহলে টানা ৪১ দিন (রবিবার ও অন্যান্য ছুটির দিন সহ) বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল।