ঝুলিতে রয়েছে বড় বড় ডিগ্রি! মহুয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা জানলে লজ্জা পাবেন আপনিও

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : নদীয়ার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) এখন প্রাক্তন। তিনি আপাতত আর সংসদে প্রবেশ করতে পারবেন না। ক্যাশ ফর কোয়ারি মামলায় এথিক্স কমিটি তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে এবং তার সাংসদ পদ বাতিল করার সুপারিশ জানায়। এথিক্স কমিটির এমন সুপারিশের পর শুক্রবার লোকসভায় ধ্বনি ভোটে মহুয়া মৈত্রকে পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে মহুয়া মৈত্র কেবলমাত্র ক্যাশ ফর কোয়ারি বিতর্কেই জড়িয়ে পড়েছেন এমন নয়, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন বিতর্কে তিনি জড়িয়ে ছিলেন।

মহুয়া মৈত্রকে বারবার যে সকল বিতর্ক ঘিরে ধরেছে তার মধ্যে রয়েছে তার ব্যক্তিগত জীবনের বেশ কিছু অংশ। ব্যক্তিগত জীবনের বেশ কিছু অংশ ছাড়াও রাজনৈতিক জীবনে তিনি সাংবাদিকদের রোষানলে পড়েছিলেন মূলত যখন তিনি ‘দু’পয়সার প্রেস’ অর্থাৎ সাংবাদিকদের ‘দু’পয়সার সাংবাদিক’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এছাড়াও কালী তথ্যচিত্রকে ঘিরেও তাকে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। তবে বারবার এমন বিতর্কে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়া মহুয়া মৈত্রর শিক্ষাগত যোগ্যতা নজর কাড়া। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা জানলে আপনিও লজ্জা পাবেন।

তার শিক্ষা জীবনের সূচনা হয় কলকাতায়। সেখানে স্কুল জীবন কাটানোর পর মহুয়া মৈত্র উচ্চশিক্ষার জন্য পৌঁছে যান মার্কিন মুলুকে। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটের সাউথ হার্ডলির মাউন্ট হলিওকে কলেজে তিনি তার পরবর্তী পড়াশোনা করেন এবং সেখান থেকেই অর্থনীতি ও গণিতে স্নাতক হন। বিদেশে পড়াশোনার দৌলতে তার কর্মজীবনও শুরু হয় বিদেশের মাটিতেই।

সাংসদ পদ খুইয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার লোকসান! মহুয়ার হাতছাড়া এই ৫ সুবিধা

কর্মসূত্রে তিনি নিউ ইয়র্ক ছাড়াও দীর্ঘদিন বসবাস করেছেন লন্ডনে। তিনি মূলত বিখ্যাত মার্কিন সংস্থা জেপি মরগ্যানে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসেবে কাজ করেছেন। বিদেশে পড়াশোনা থেকে কর্মজীবন এবং বসবাসের পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি এক বিদেশিকে বিয়ে করেছিলেন। যদিও সেই বৈবাহিক সম্পর্ক তিনি বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি। পরে মহুয়া মৈত্র এবং তার স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন।

পরবর্তীতে বিদেশি ওই বিখ্যাত সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ত্যাগ করে মহুয়া মৈত্র ২০০৯ সালে রাজনীতিতে পা রাখেন। তিনি প্রথমে যুব কংগ্রেসে যোগ দেন। তবে কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার বছর খানেকের মধ্যেই তার মতিগতি পরিবর্তন হয় এবং কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান তৃণমূলে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ২০১৬ সালে নদীয়ার করিমপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিধায়ক হন। অন্যদিকে ২০১৯ সালে নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাংসদ হন। তবে তার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হন।