নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১১ সালের রাজ্যে শাসকদলের পালাবদল হয়। রাজ্যে শাসকদলের ভূমিকায় বসে তৃণমূল (TMC)। তৃণমূল সরকারি আসার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যে বিভিন্ন পরিবর্তন আনেন। পুরাতন ধারাকে বদলে ফেলে একের পর এক প্রকল্প চালু করেন রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য। রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য সেই সকল প্রকল্প এখন জনদরদী প্রকল্প হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
অন্যদিকে তৃণমূল সরকারে আসার পর ধাপে ধাপে শাসকদলের আধিপত্য আসতে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জীর (Abhishek Banerjee) হাতে। এই অভিষেক ব্যানার্জিই এখন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। সাংসদের পাশাপাশি অভিষেক ব্যানার্জি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি। তবে অভিষেকের এইভাবে উত্থানকে বিরোধীরা কোনভাবেই পছন্দ করেন না, তারা নানান ভাবে প্রতিনিয়ত কটাক্ষ করে থাকেন। বিরোধীদের দাবি, ‘পিসির জন্যই ভাইপো আজ এই জায়গায় এসেছে। পিসি ছাড়া ভাইপোর কিছু নেই’।
এসবের মধ্যেই আবার রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্ট মহলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং অভিষেক ব্যানার্জির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নানান কৌতূহল রয়েছে। কেনই বা কৌতূহল থাকবে না! কেননা এই দুজনের হাতেই যে এখন রাজ্যের ভার তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
অভিষেক ব্যানার্জীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানা যায়, তিনি এম.পি. বিড়লা ফাউন্ডেশন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি পড়াশোনা করেন দিল্লিতে। সেখানে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট থেকে বিবিএ এবং এমবিএ পাশ করেন। পড়াশোনা শেষ করে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেই তিনি রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মেরুদন্ড হিসেবে পরিণত হন।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানা গিয়েছে, তিনি ১৯৭০ সালে দেশবন্ধু শিশু শিক্ষালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। ১৯৭৪ সালে বিএ পাশ করেন কলকাতা ইউনিভার্সিটি আওতায় থাকা যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে। এরপর ১৯৭৯ সালে ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি থেকে এমএ পাশ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি আইন নিয়ে এলএলবি পাশ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকা যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ অফ ল থেকে। শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যেমন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন ঠিক সেই রকমই তিনি তাক লাগান দেশের মধ্যে সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও।