নিজস্ব প্রতিবেদন : এমনিতেই দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়ছে। শীতকালে শীতকালীন সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও সেই ভাবেই শীত না পড়ায় সেখানেও কোপ পড়তে শুরু করেছে। আবার শীতের মাঝে অকাল বৃষ্টির পর থেকে দেখা যায় আলুর দামও কোন কোন জায়গায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে মাছ, মাংসের কথা ছেড়েই দিলাম, এবার ডিমের দামেও (Egg Price) কোপ পড়তে শুরু করল।
নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বহু পরিবারের সদস্যরা প্রতিদিন মাছ-মাংস খেতে পারেন না। মূলত এই সকল খাদ্য সামগ্রীর দাম অনেক থাকার কারণে তাদের সাধ্যে কুলায় না। যে কারণে মুখরচোখ এবং পুষ্টিকর খাবারের যোগানে ডিম মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির অন্যতম রসদ। কিন্তু এবার ডিমেরও দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করলো শনিবার থেকেই। নতুন যে দাম হয়েছে তাতে খাওয়ার থেকে ঝাঁঝেই মরতে হবে।
এমনিতেই গত কয়েক দিন ধরেই বাজারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছিল ৭ টাকা। আগে যেখানে প্রতি পিস ডিম ৫ টাকা অথবা ৬ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত, সেই দামে এক টাকা বা দু’টাকা বৃদ্ধি পেতেই রীতিমত ঘুম উড়েছে সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবারগুলির। এরপর আবারও দাম বৃদ্ধি কতটা চাপ হতে পারে বোঝাই যায়। হ্যাঁ, মধ্যবিত্তদের চাপ বাড়িয়ে শনিবার থেকে আরো বেশি দামে বিক্রি হতে শুরু করেছে প্রতি পিস ডিম।
আরও পড়ুন ? Eggs: এক গ্লাস জলেই বুঝে নিন ডিম পচা না ভালো! রইল সহজ পদ্ধতি
শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতা এবং শহরতলী ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ৭ টাকা পিস ডিম বিক্রি হলেও শনিবার থেকে সেই ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫০ টাকা। চলতি মাসের শুরু থেকেই পাইকারি ডিমের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছিল। নভেম্বর মাসের শেষে যেখানে পাইকারি ডিমের দাম প্রতি পিস ছিল ৫.৮০ টাকার আশেপাশে, সেই জায়গায় ডিসেম্বরের প্রথমেই দাম কিছুটা কমে পাইকারি রেট হয়েছিল ৫.৫৫ টাকা। কিন্তু এরপরেই আবার দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
ডিসেম্বরের শুরুতে ৫.৫৫ টাকা প্রতি পিস পাইকারি রেটে ডিমের দামের পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫.৯২ টাকা। ৬ ডিসেম্বর ওই দাম থাকার পর ৭ ডিসেম্বর দাম অনেকটাই বেড়ে পাইকারি রেট দাঁড়ায় ৬.২০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে মুনাফা ধরে রাখার জন্য শেষমেষ বিক্রেতারা ৭.৫০ টাকায় প্রতি পিস ডিম বিক্রি করা শুরু করলেন। এমন দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে যা জানা যাচ্ছে তাতে মুরগি পালনের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।