Vote Counting Rules: লাগানো যাবেনা শিক্ষকদের! এবার ভোট গণনায় নয়া নির্দেশিকা জারি নির্বাচন কমিশনের

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে ছাপ্পা থেকে শুরু করে নানান ধরনের অভিযোগ তুলতে দেখা যায় ভোটে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রার্থী থেকে রাজনৈতিক দলকে। আর এই সকল অভিযোগের যাতে কোন জায়গা না থাকে তার জন্য নির্বাচন কমিশন সবসময় সজাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ভোটগ্রহণের মতোই ভোট গণনার (Vote Counting) ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ থাকতে দেখা যায়।

Advertisements

ভোট গণনার ক্ষেত্রে প্রভাবিত করার অভিযোগ বিভিন্ন সময় তুলতে দেখা যায় বিরোধীদের। আর এই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সম্প্রতি বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রবিন দেব, শমিক লাহিড়ী সহ সিপিআইএমের এক প্রতিনিধি দল। তারা অভিযোগ করেছেন, কলকাতা শহর রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদলের হয়ে কাজ করার।

Advertisements

এর পাশাপাশি ভোট গণনার সময় কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বামেদের ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তারা কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে সরকারি কর্মী এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগের বিরোধিতা করেন। তাদের দাবি সরকারি কর্মী অথবা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হলে ভোট গণনায় প্রভাব পড়তে পারে। এর পাশাপাশি তারা দাবি তোলেন, এজেন্ট হবেন যেকোনো দলের প্রতিনিধিরা।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Free Dish Connection: টাকা দিয়ে টিভি দেখার দিন শেষ! এবার এইভাবে ফ্রিতে পেয়ে যান FREE DISH কানেকশন

এর আগেও বিভিন্ন ভোটের ক্ষেত্রে ভোট গণনার সময় বিভিন্ন দিক দিয়ে ভোট গণনাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের তরফ থেকে। তবে এবার যাতে এই ধরনের কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য বিরোধীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে এবং সেই নির্দেশিকায় জানিয়ে দিয়েছে কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে কোন শিক্ষক অথবা সরকারি কর্মীকে লাগানো যাবে না।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, স্থায়ী হোক অথবা চুক্তিভিত্তিক, কোন সরকারি কর্মীকেই কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। রাজ্যের কোন সরকারি অথবা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও ভোট গণনার কাজে লাগানো যাবে না। নির্বাচন কমিশনের এমন নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া বিরোধী মহলে।

Advertisements