নিজস্ব প্রতিবেদন : অন্যান্য আর পাঁচটা নথির মত ভোটার আইডি কার্ডও গুরুত্বপূর্ণ নথি তা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে এই ভোটার আইডি কার্ডের ক্ষেত্রে অথবা ভোটার তালিকার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ভুলভ্রান্তি থেকে থাকে। এছাড়াও ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত অথবা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রতিবছর সংযোজন বিভাজন ঘটে। এই সকল কাজের জন্য বর্তমান করোনাকালেই দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। এমনটাই জানানো হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, গোটা দেশেই একসাথে এই ভোটার সংশোধনের কাজ শুরু হবে। দেশের প্রতিটি রাজ্যের নাগরিকরা এই সংশোধনের কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রক্রিয়াটি শুরু হবে আগামী ১লা নভেম্বর থেকে। নভেম্বর এবং ডিসেম্বর এই দুই মাস চলবে এই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ১লা নভেম্বর প্রকাশ করা হবে ভোটার লিস্টের খসড়া তালিকা। তারপর এক মাস ধরে চলবে ভোটার তালিকায় নাম লেখানো, নাম সংশোধন অথবা বাদ দেওয়ার কাজ। এই কাজগুলির জন্য স্বাভাবিকভাবেই আলাদা আলাদা ফর্মে আবেদন করতে হবে। প্রক্রিয়াটি চালানোর জন্য প্রতি শনিবার এবং রবিবার এলাকায় এলাকায় বিশেষ ক্যাম্প করা হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত আবেদন গ্রহণ করার পর ২০ ডিসেম্বর সেই সকল তালিকা নিয়ে শুনানি হবে এবং সবশেষে সংশোধিত তালিকা নিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি।
নতুন ভোটার হিসাবে যাদের বয়স ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে তারাও এই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলাকালীন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভোটার তালিকায় কোন পরিবর্তনের জন্য ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।