নিজস্ব প্রতিবেদন : এবারের বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক ঘটনা ঘটে চলেছে যা নজিরবিহীন। এর আগে কোন নির্বাচনে রাজ্যে ৮ দফা ভোট হয়নি। এর আগে কোন নির্বাচনে এত দফা ভোট হওয়ার পরেও এত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়নি। আসলে কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো অবাধ এবং নির্বিঘ্ন নির্বাচন সম্পন্ন করা। আর এসবের লক্ষ্যেই এবার আরো এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল কমিশনকে।
কমিশনের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বাহিনীকে স্বতন্ত্রতা দেওয়া হয়েছে ‘দরকার হলে গুলি চালাতে পারে বাহিনী’। দ্বিতীয় দফা ভোটের আগেই এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল কমিশনকে। তবে হঠাৎ কমিশন এমন সিদ্ধান্ত কেন নিলো? অবশ্যই এর পিছনে রয়েছেন একটি ঘটনা। ঘটনা পটাশপুরের, যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী আক্রান্ত হয় এবং আহত হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ করে কমিশনকে।
সাধারণত নিয়ম অনুসারে বাহিনী গুলি চালাতে পারে। তবে সাধারণত এমন ঘটনার নজির নেই বললেই চলে। তবে পটাশপুরের ঘটনার পর কমিশনের তরফ থেকে কোনরকম দ্বিধা রেখে বাহিনীকে আত্মরক্ষার্থে প্রয়োজন পড়লে গুলি চালাতে পারে এই নির্দেশ দিলো।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, আগামী পয়লা এপ্রিল রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোট রয়েছে। এই দ্বিতীয় দফার ভোট হবে চার জেলায়। ৪ জেলার মোট ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই ৩০টি আসনের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হলো নন্দীগ্রাম। এছাড়াও যেসকল আসনগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে সেগুলি হল গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর, তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া, চণ্ডীপুর, খড়গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুর, তালডাংরা, বাঁকুড়া, বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতলপুর, ইন্দাস, সোনামুখী।