অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ করলো নির্বাচন কমিশন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক নেতা নেত্রীর পর এবার কমিশনের শোকজের সম্মুখীন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। একাধিক সভায় একাধিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisements

Advertisements

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অ্যাপে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে এই শোকজ করা হয়েছে। যদিও শোকজের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত অনুব্রত মন্ডলের কোন রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারের মধ্যেই তাকে শোকজের উত্তর দিতে বলা হয়েছে।

Advertisements

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে তাতে ‘বিজেপিকে ঠেঙ্গিয়ে পগার পার করার’ মত মন্তব্য ছাড়াও ‘খেলা হবে, ভ’য়ঙ্কর খেলা হবে’ ইত্যাদি একাধিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শোকজ করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। এখন এই শোকজের উত্তরে অনুব্রত মণ্ডল কি উত্তর দেন তার দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৯ এপ্রিল অষ্টম দফা নির্বাচনে বীরভূমে রয়েছে ভোটগ্রহণ। আর তার আগে অনুব্রত মণ্ডলের উপর কমিশনের এমন শোকজ ফের একবার প্রশ্ন তুলছে তার উপর নজরদারি নিয়ে। কারণ এর আগেও একাধিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে অনুব্রত মণ্ডলকে নজর বন্দী অথবা গৃহবন্দী করার মতো ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এবারও অনুব্রত মণ্ডল এর উপর কোনরকম নিষেধাজ্ঞা চাপতে চলেছে!

[aaroporuntag]
অন্যদিকে শীতলকুচির ঘটনার পর অনুব্রত মণ্ডল দিলীপ ঘোষ এবং অন্যান্য বিজেপি নেতাদের মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্বাচন কমিশনারকে ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বলে আক্রমণ করেছিলেন। তার কথায়, “দিলীপ ঘোষ এবং অন্যান্য রাজ্যে কথা বলছে সেই কথা আমি বললে আমাকে সঙ্গে সঙ্গে নজরবন্দি করা হতো। নির্বাচন কমিশনার কি অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র নয়?” যদিও ইতিমধ্যেই শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল সিনহার উপর প্রচারে ৪৮ ঘন্টা নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, পাশাপাশি দিলীপ ঘোষকে শোকজ করা হয়েছে।

Advertisements