লকডাউনে ঘরে বসেই স্বয়ংক্রিয় স্যানিটাইজার মেশিন বানিয়ে নজির বাঁকুড়ার যুবকের

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। কথায় আছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। মস্তিষ্ক অলস ভাবে পড়ে থাকলে আমরা নানারকম দুর্বুদ্ধি এঁটে ফেলি। বাংলা, হিন্দি, সিরিয়াল দেখে মানুষ শুরু করে কিচেন পলিটিক্স। কিন্তু মানুষ যদি হন কর্মঠ তাহলে তার কাজের দ্বারাই তিনি হবেন বিখ্যাত যেমন বাঁকুড়ার বিপুল কুন্ডু।

লকডাউনের চক্করে পড়ে সকলে যখন নিজেদের অবসর কাটাতে নানারকম ভিডিও করে সোশ্যাল সাইটে আপলোড করছেন তখন এই ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বাঁকুড়ার বিপুল কুন্ডু লকডাউনের এই বিশাল অবসরকে কাজে লাগিয়ে ফেলেছেন। দোকানে দোকানে ওজনের মেশিন মেরামতির কাজ করেন তিনি। স্বয়ংক্রিয় স্যানিটাইজার যন্ত্র তৈরি করেছেন তিনি।

স্বয়ংক্রিয় স্যানিটাইজার মেশিন অর্থাৎ আপনি বুঝতেই পারছেন বাজারে এর কী বিপুল পরিমাণ চাহিদা! ৪৫ দিনের পরিশ্রমের ফসল এই যন্ত্র। হাতের কাছে পাওয়া সুলভ জিনিস দিয়েই তিনি এই যন্ত্র আবিষ্কার করেন। আপাতত দুটি যন্ত্র বানিয়েছেন তিন। একটি যন্ত্রের সামনে হাত পাতলেই স্প্রে আকারে বেরিয়ে আসে জীবানুমুক্ত করার জন্য তৈরি বিশেষ দ্রবণ। অন্যটি থেকে ফোঁটা ফোঁটা আকারে বেরিয়ে আসছে স্যানিটাইজার।

প্রথম যন্ত্র নির্মাণে খরচ প্রায় তিন হাজার টাকা। অপরটিতে আড়াই হাজার টাকা। এখন সরকারি থেকে বেসরকারি অফিস সর্বত্রই এই স্যানিটাইজারের চাহিদা। তাই বাণিজ্যিক ভাবে এই যন্ত্রকে তৈরি করার কথা ভাবছেন তিনি! ইতিমধ্যে বরাতও মিলেছে।

বিপুলবাবু বলেছেন, “এর মধ্যেই নানা দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে বরাত মিলতে শুরু করেছে।” তাই অলস ভাবে সময় না কাটিয়ে চলুন না নতুন কিছু তৈরি করি‌।