Elephant in Birbhum: জঙ্গলমহলে একের পর এক বাঘের হানার পর এবার বীরভূমে হানা দিল হাতি। শুক্রবার সকাল থেকেই দুবরাজপুর লোবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দুটি হাতিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। হাতি দুটি পশ্চিম বর্ধমানের দিক থেকে অজয় নদ পেরিয়ে বীরভূমে প্রবেশ করেছে। সকাল সকাল হাতি দেখে স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
হাতির এইভাবে আগমনে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে বীরভূমের (Elephant in Birbhum) ওই এলাকার শীতকালীন চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত চাষিরা। হাতি দুটি চাষের ক্ষেত মাড়িয়ে গৃহস্থের গাছপালা ভেঙে বা গৃহস্থের ঘর দুয়ার তছনছ করে অনিষ্ঠ করতে পারে বলে আতঙ্কে ভুগছে ওই এলাকার মানুষজন। এলাকায় হাতির আগমনের খবর পেতেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ এবং বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
মনে করা হচ্ছে যে, হাতি দুটি পশ্চিম বর্ধমান হয়ে বীরভূমে প্রবেশ করেছে, সেই হাতি দুটি এখন দুবরাজপুরের জয়দেব মোড় এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ডিএফও রাহুল কুমার, দুবরাজপুর রেঞ্জার থেকে শুরু করে দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেন। হাতির আনাগোনা সচরাচর বীরভূমে (Elephant in Birbhum) চোখে পড়ে না। তাই সকাল সকাল জেলায় হাতির আগমন হওয়ায় সেই হাতি দেখতে এখন সাধারণ মানুষদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন:Bangladesh Border: ভারতের ক্ষমতা এবার বুঝে গেল বিজিবি, কি করবে এবার বাংলাদেশ
এর পাশাপাশি যাতে ওই হাতি এলাকায় খুব বেশি ক্ষতি করতে না পারে এবং তাদের স্বাভাবিকভাবে নিজেদের এলাকায় ফেরানো যায় সেই বন্দোবস্ত করছে বনদপ্তর ও পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে যাতে করে হাতি দুটি চাষের ক্ষেত বা গৃহস্থের খুব বেশি ক্ষতি করতে না পারে। এদিকে বনদপ্তরের কর্মীরা হাতে বন্দুক নিয়ে হাজির হয়েছেন। মনে করা হচ্ছে হাতি দুটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। আর সেই জন্য যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন সব ইতিমধ্যেই সেরে ফেলতে দেখা গিয়েছে বনদপ্তরের কর্মী থেকে শুরু করে পুলিশকে।
কিছুদিন আগে ভিন রাজ্য থেকে আগত বাঘ নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল জঙ্গলমহল এলাকা। আপাতত সেই বাঘকে খাঁচায় বন্দী করে যথাস্থানে পাঠানো গিয়েছে। তবে বাঘ গেলেও এবার মনে হচ্ছে গজরাজের পাল্লায় পড়তে চলেছে রাজ্যের বড় দপ্তর বিভাগ। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট এলাকার এক শ্রেণীর মানুষজন নতুন উত্তেজনার খোরাকে বেশ ভালই মেতেই আছে।