চরম চাপে আম্বানির Jio, ভারতে ইন্টারনেট ব্যবসা শুরুর আবেদন এলন মাস্কের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থা Reliance Jio ভারতের টেলিকম বাজারে নিজেদের ব্যবসা শুরু করার পর অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি কড়া চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। সেসময় ভারতে সাত থেকে আটটি টেলিকম সংস্থা ব্যবসা করত। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে না পেরে অনেকেই নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। বাকি থাকা Airtel এবং Vodafone Idea-কেও প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে এবার এই মুকেশ আম্বানি টেলিকম সংস্থাই কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছে।

Advertisements

মহাকাশে উচ্চাকাঙ্ক্ষার রেস ছড়িয়ে দেওয়ার পর ভারতীয় নিজের আধিপত্য কায়েম করার চেষ্টায় বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের এলন মাস্ক। ভারতে এলন মাস্কের সংস্থা ‘স্টারলিঙ্ক’ ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করতে চায়। এর ফলে এশিয়ার অন্যতম ধনকুবের মুকেশ আম্বানি এবং তার টেলিকম সংস্থার রিলায়েন্স জিও সরাসরি কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে, পাশাপাশি রিলায়েন্স জিও চরম চাপের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisements

ইলন মাস্কের সংস্থা ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। তবে দিন কয়েক আগে কেন্দ্রের তরফ থেকে একটি বয়ানে বলা হয়, ভারতের নিজেদের পরিষেবা প্রদান করার জন্য এলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্ক এখনো লাইসেন্স পায় নি। যে কারণে সরকারের তরফ থেকে এই সংস্থার কোনরকম ইন্টারনেট পরিষেবা সাবস্ক্রাইব করতে বারণ করা হয়। সরকারের এই বয়ানের পর নড়েচড়ে বসে এলন মাস্কের সংস্থা এবং বাণিজ্যিক লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে।

Advertisements

তবে এর পাশাপাশি ভারতে কবে এই সংস্থার পরিষেবা শুরু হবে তাও সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক সংস্থার ভারতের শাখার ডিরেক্টর সঞ্জয় ভার্গব জানিয়েছেন, “কোন বড় সমস্যার সম্মুখীন নাহলে আশা করা হচ্ছে আগামী বছর ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই আমরা বাণিজ্যিকভাবে নিজেদের ব্যবসা শুরু করার জন্য লাইসেন্স পেয়ে যাব। তবে অনুমতি না পেলে আমরা পরিষেবা শুরু করব না।”

অন্যদিকে এলন মাস্কের এই সংস্থার লক্ষ্য রয়েছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দু’লক্ষ ডিভাইস ইনস্টল করা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই সংস্থার এই সকল ডিভাইস ইন্সটল করা হবে অধিকাংশই গ্রাম অঞ্চলে। গ্রাম্য অঞ্চলে তারা ৮০% ডিভাইস ইন্সটল করার টার্গেট নিয়েছে। মূলত গ্রাম্য এলাকায় বড় অংশকে গ্রাহক হিসেবে নিজেদের পকেটের পুরার টার্গেট নিয়েছে এই সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই এই সংস্থার এই লক্ষ্যমাত্রা জিও ছাড়াও অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলিকেও চাপে ফেলবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

Advertisements