Enjoy a ride from Silchar to Agartala in Vistadome: পাহাড়ের সৌন্দর্য বরাবরই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। বন্যপ্রাণী, পাহাড়ি গাছপালা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবমিলিয়ে বাঙালির চিরকালই পাহাড় খুব পছন্দের। পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রেল কর্তৃপক্ষ নিয়ে এলো দুর্দান্ত সুযোগ। খুব শিগগিরই এই অঞ্চলে চালু হবে ভিস্তাডোম রেল ব্যবস্থা। পাহাড়ের মাঝে যখন ট্রেন ছুটে যাবে আর দেখা যাবে অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বক্তব্য রেখেছেন যে, আগরতলা ও শিলচরের মধ্যে ভিস্তাডোম কোচের সামার স্পেশ্যাল ট্রেন খুব তাড়াতাড়ি চালু হবে (Silchar to Agartala vistadome)। পাহাড় ঘুরতে আর চিন্তার কোন কারণ নেই।
কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হল ভারতীয় রেলকে? আসলে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ এড়ানোর জন্যই আগরতলা ও শিলচরের মধ্যে একটি ভিস্তাডোম কোচ-সহ সামার স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল ব্যবস্থা (Silchar to Agartala vistadome)। সম্ভবত এই ট্রেনটি চলতি বছরের ২৯ জুন থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রত্যেক বৃহস্পতি ও শনিবার উভয় দিক থেকে ২৫টি করে ট্রিপের জন্য চলাচল করবে। যাত্রীদের জন্য এর থেকে খুশির সংবাদ আর কি হতে পারে।
তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে যে, ০৫৬৯৫ নং. (আগরতলা-শিলচর)ভিস্তাডোম কোচ-সহ সামার স্পেশ্যাল ট্রেনটি (Silchar to Agartala vistadome) আগরতলা থেকে সকাল ৬টায় রওনা দিয়ে শিলচরে পৌঁছবে ১১.৩০ মিনিটে এবং ফেরত যাবার সময় ০৫৬৯৬ নং. (Silchar to Agartala) স্পেশ্যাল ট্রেনটি শিলচর থেকে বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে রওনা দিয়ে আগরতলা পৌঁছবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে।
এই ভিস্তাডোম কোচ-সহ সামার স্পেশ্যাল ট্রেনটি (Silchar to Agartala vistadome) উভয় দিক থেকে যাত্রা করার সময় আম্বাসা, ধর্মনগর, নিউ করিমগঞ্জ, বদরপুর ও অরুণাচল স্টেশনে স্টপেজ দেবে। যাত্রীদের জন্য এই স্পেশাল ট্রেনটিতে থাকবে নতুন চমক। একটি ভিস্তাডোম কোচ, একটি এসি চেয়ার কার এবং চারটি জেনারেল চেয়ার কার থাকবে যাত্রীদের সুবিধার জন্য। যাত্রীরা যাবতীয় তথ্য যেমন, ট্রেনের স্টপেজ ও সময়সূচির বিশদ বিবরণ পেয়ে যাবেন আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট থেকে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কিন্তু এর আগেও বেশ কয়েকটি রুটে নিয়মিতভাবে এই ভিস্তাডোম কোচ চালিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে যাত্রীদের চাপও থাকে এই অংশে বেশি৷ সম্প্রতি নতুনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগরতলা থেকে শিলচর পর্যন্ত চালানোর। রেল আধিকারিকদের বক্তব্য অনুসারে, এই অংশটিতে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পর্যটকরা ট্রেনে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার সুযোগ কখনই হাতছাড়া করতে চান না। সেই কারণে ভিড়ও হয় অনেক। আশা করা হচ্ছে বর্তমানে এই ভিড়ের পরিমাণ আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে। বহু পর্যটক বিমানের পরিষেবা নিতে পছন্দ করলেও তা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই ভিস্তাডোম চমক নিয়ে হাজির হচ্ছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।