As a result of this initiative of the administration, the joy of visiting Mukutmanipur is doubled: বাঙালি এমনিতেই হলো ভ্রমণপ্রিয় জাতি। বেশিদিন বদ্ধ ঘরে তাদের মনকে আটকে রাখা একেবারে অসম্ভব। তাই স্বল্পদিন হোক কিংবা বেশিদিন বছরে একবার ভ্রমণ যেন অক্সিজেনের মত কাজ করে। একঘেয়ে কর্মব্যস্ত জীবন থেকে কিছুদিনের স্বস্তির নিঃশ্বাস সকলেই নিতে চায়। আমাদের রাজ্যে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর (Mukutmanipur)। এখানে পর্যটকদের ভিড় বছরে বিভিন্ন সময় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এবার থাকছে তাদের জন্য নয়া চমক, আসুন জেনে নিই কি সেই চমক।
যেসব পর্যটকরা মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur) ভ্রমণ করতে আসেন তারা নৌকা বিহার থেকে শুরু করে কংসাবতীর ডেমের নীল জলে সেলফি তোলা সবকিছুই উপভোগ করেন। কিন্তু রাত হলে এখানে পর্যটকদের নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এবার এই সমস্যার হাত থেকে পর্যটকদের মুক্তি দেওয়া হবে। সেই জন্যই নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রকমের অভিনব উদ্যোগ, আশা করা হচ্ছে এর ফলে পর্যটক সংখ্যা অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।
রাতের অন্ধকারে এখন থেকে আর পর্যটকদের হোটেলে বসে থাকতে হবে না তারা চাইলে বেরিয়ে পড়তে পারে লং ড্রাইভে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে বসানো হয়েছে পথবাতি। খাতড়ার দেদুয়া ব্রিজ মোড় থেকে মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur) যাতায়াতের রাস্তায় লক্ষ্য করা যাবে এই পথবাতি। পর্যটন কেন্দ্রের পথে ঝকঝকে আলোতে খুশি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকেরা। মুকুটমণিপুরে দর্শনীয় স্থান রয়েছে প্রচুর যেমন, কংসাবতী ড্যাম হলো অতি বৃহৎ মাটির বাঁধ। পাশাপাশি যেতে পারেন মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট, পরেশনাথ, বাঁধের উপরের মনোরম রাস্তা, লুকোনো ট্রেইল করার জন্য পেয়ে যাবেন ভাড়া করা সাইকেল এবং চাইলে আপনারা করতে পারবেন নৌকা বিহার।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে মুকুটমণিপুরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। এখানে খুব কাছেই আপনারা দেখতে পাবেন অম্বিকানগর রাজবাড়ি এবং মা অম্বিকার মন্দির। এইসবের সাথে উপরি পাওনা হলো মুকুটমণিপুর যাওয়ার রাস্তায় আলো। রাস্তার আলোর গুরুত্ব এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে হোটেল মালিক সকলেই বুঝতে পারছেন।
খাতড়া মহকুমা প্রশাসন এই বিষয়ে জানিয়েছে যে, রাজ্য সরকার এই কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। মুকুটমণিপুরকে (Mukutmanipur) উন্নতভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য বসানো হয়েছে প্রায় ৩০৪ টি বৈদ্যুতিক পথবাতি। এর জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় এক কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা। পুজোর আগে যদি রাজ্যের এই পর্যটনকেন্দ্রটি নয়া সাজে সেজে ওঠে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আকৃষ্ট করা যাবে পর্যটকদের।
ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণে পর্যটক আসবে এই জায়গাটিতে। ভবিষ্যতে ভিড় বাড়তে পারে হোটেল থেকে শুরু করে পান্থশালাগুলোতেও। এবছর যদিও মুকুটমণিপুরে পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। বর্ষা সেভাবে না হওয়ায় মুকুটমণিপুর পর্যটকদের সেভাবে টানতে পারছে না। তার ওপর যদি রাস্তায় আলো লাগানো যায় তাহলে হয়তো পর্যটকদের মন ঘোরানো যাবে কিছুটা। আলো লাগানোর ফলে পর্যটকসংখ্যা বৃদ্ধি হবে কিনা এখন শুধুমাত্র সেইটাই দেখার অপেক্ষা।