নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত বাংলাদেশের (India-Bangladesh) মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই সুনিবিড়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত সবসময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে কখনো কখনো রাজনৈতিক অস্থিরতা অথবা ছোট ছোট কিছু কারণে দুই দেশের মানুষদের মধ্যে অসন্তোষ লক্ষ্য করা গিয়েছে। ঠিক যেমন এখন পদ্মার ইলিশ নিয়ে তৈরি হয়েছে দুই দেশের সাধারণ মানুষদের মধ্যে মনকষাকষি।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোর আগে পদ্মার ইলিশ ভারতকে দিয়ে থাকতো, যা একপ্রকার রীতিতে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু এই বছর হাসিনা সরকারের আচমকা পতনের পর সেখানে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে সেই সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দুর্গাপুজোর সময় ভারতকে ইলিশ দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন।
ভারতকে ইলিশ দিতে না পারার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, বিশ্বের কোন দেশেই আপাতত ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে না। তারা তাদের দেশের মানুষদের কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশের এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রচুর ভারতীয় নাগরিকরা, বিশেষ করে বাঙালিরা বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছেন না। এর পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকদের অনেকেই এর পাল্টা শিক্ষা দেওয়ার দাবি তুলছেন। কিন্তু ভারত সরকার তেমন নয়।
ভারত সরকার ‘ইঁটের বদলে পাটকেল’ এই নীতিতে চলে না বললেই চলে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশের ক্ষেত্রে। আর যে কারণেই তারা বাংলাদেশের দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী অনেকটাই পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। ইঁটের বদলে পাটকেলের পরিবর্তে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে ভারত শুধু বাংলাদেশকে পেঁয়াজ পাঠাচ্ছে এমন নয়, এর পাশাপাশি রপ্তানি শুল্ক অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : India vs Bangladesh Test: দুই রবির ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই স্বপ্ন চূর্ণ বাংলাদেশের, চালকের আসনে ভারত
বাংলাদেশে এখন অস্থির পরিস্থিতির কারণে আলু থেকে পেঁয়াজ সব কিছুরই দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তারা বিদেশ থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে পাকিস্তান, মিশর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি করার ক্ষেত্রে তাদের খরচ অনেকটাই বেশি হচ্ছে। কেননা ঐ সকল দেশের সরকার পেঁয়াজের দাম কমায়নি। এমন পরিস্থিতিতে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে। ভারতের এমন সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।