৪২% বাড়লো Mobile ট্যারিফ প্ল্যান, খরচ কমানোর ৫ টি উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ থেকে বেড়ে গেল এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া গ্রাহকদের মোবাইল খরচ। খরচ বাড়লো ৪২ শতাংশ পর্যন্ত। নতুন ট্যারিফ প্ল্যান দেখে বলাই বাহুল্য, যে সমস্ত গ্রাহকদের আগে তিন মাসে খরচ হতো ৪০০ টাকা বা তার ধারে পাশে, তাদের এখন কম করে ২০০ টাকা বেশি খরচ করতে হবে ওই সমস্ত প্ল্যানকে বহন করতে। কিন্তু এখানেও রয়েছে কারসাজি। আগে কম টাকায় পাওয়া যেত আনলিমিটেড কল, কিন্তু এবার তা আর পাওয়া যাবে না। বেশি কথা বললে আলাদা করে আরও বেশি খরচ বহন করতে হবে।কারণ প্রতিটি প্ল্যানের ক্ষেত্রেই অন্যান্য নেটওয়ার্কে কল করার নির্দিষ্ট মিনিট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে এরপরেও মোবাইল খরচ কমানোর বা আয়ত্বে রাখত উপায় রয়েছে, চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন পাঁচটি অব্যর্থ উপায়।

বর্তমান নতুন প্ল্যানে কোনো গ্রাহক জিও, এয়ারটেল বা ভোডাফোনের ৫৫৫, ৫৯৮ বা ৫৯৯ টাকা রিচার্জ করছেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে দেওয়া হবে প্রতিদিন ২ জিবি (জিও), ১.৫ জিবি (এয়ারটেল, ভোডাফোন) করে ইন্টারনেট আর অন্য নেটওয়ার্কে কল করার জন্য ৩০০০ মিনিট। এই রিচার্জের ভ্যালিডিটি ৮৪ দিন। কিন্তু যারা বেশি কথা বলেন তাদের ৮৪ দিনে ৩০০০ মিনিট অন্য নেটওয়ার্কে কথা বলে চালানো বেশ কষ্টকর। ৩০০০ মিনিট শেষ হয়ে যাওয়ার পর কল চালিয়ে যেতে আবার আপনাকে অন্য নেটওয়ার্কে কল করার জন্য আলাদা করে টকটাইম রিচার্জ করতে হবে। তাহলে খরচ কমানোর উপায়!

১) খরচ কমানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে যেটা করতে হবে, যতটা দরকার ততোটাই কথা বলুন, বেশি কথা বলে মিনিট নষ্ট করবেন না।

২) যেহেতু ইন্টারনেট প্রতিদিন ১.৫ জিবি করে পাওয়া যাচ্ছে, তাই বেশি কথা বলার প্রয়োজন হলে ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেঞ্জার অথবা গুগোল ডুয়ো’র মত মাধ্যম ব্যবহার করুন।

৩) একই নেটওয়ার্কে বেশি কথা বলুন। কারণ এয়ারটেল, ভোডাফোন বা জিও নিজেদের নেটওয়ার্কে কলিং আনলিমিটেড ফ্রি রেখেছে।

৪) প্রতিদিন ১০০ টি করে এসএমএস ফ্রি দেওয়ার সুযোগকে কাজে লাগান। যে কাজটি ম্যাসেজ করেই হয়ে যাবে, সেটি ম্যাসেজ করে সম্পন্ন করুন।

৫) আপনি যাদের সাথে ফোনে বেশি কথা বলেন, তাদের বেশি সংখ্যক মানুষ কোন নেটওয়ার্কে রয়েছে দেখে সেই নেটওয়ার্কে নিজের নাম্বারটি পোর্ট করে নিতে পারেন। অথবা আপনি যার সাথে বেশি ফোনে কথা বলেন, তার এবং আপনার মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থা একই রাখুন।

এই সমস্ত পন্থাগুলি ব্যবহার করে আপনি আপনার মোবাইলের খরচ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে পারেন। যদিও বর্তমানে যে কোন পরিমানে দাম বেড়েছে তাতে সমস্ত টেলিকম সংস্থার গ্রাহকদেরই দুশ্চিন্তা বেড়েছে।