দুগ্ধজাত দ্রব্য, মাছ ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছে দিতে নয়া উদ্যোগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলা ডেয়ারি সংস্থাকে প্রসারের জন্য বেশ কয়েকমাস ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। এবার এই সংস্থাকে রাজ্যের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে নতুন ঘোষণা করলেন তিনি। বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন উদ্যোগের কথা জানান।

বাংলার নিজস্ব ডেয়ারি সংস্থা বাংলা ডেয়ারিকে আগামী দিনে রাজ্যের প্রতিটি পৌর এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্টল তৈরি করা হবে বলে ইঙ্গিত দিলেন তিনি। বর্তমানে এই সকল ডেয়ারি স্টলে যে ধরনের দুগ্ধজাত দ্রব্য পাওয়া যায় সেগুলি ছাড়াও অন্য দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রি করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি এই সকল ডেয়ারি স্টলে মাছ পাওয়া যাবে বলেও ইঙ্গিত মিলল। এই বিষয়ে মৎস্য ও পশু পালন বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চালানো হবে।

বাংলার পুষ্টি ও বাংলার সৃষ্টিকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গত বছর শেষের দিকে আত্মপ্রকাশ করে বাংলার ডেয়ারি। অন্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে রাজ্যে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রী এবং সে সকল খাদ্য সামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, বাংলার ডেয়ারি বাংলার কৃষকদের থেকেই দুধ কিনছে। ফলে মাদার ডেয়ারি অথবা অন্যকোন ডেয়ারি সংস্থার দুধের তুলনায় বাংলার ডেয়ারি দুধের দাম কম।

বর্তমানে বাংলার ডেয়ারি স্টলে যে ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে গিয়ে জানান, দুধ, ঘি, দই, পায়েসের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। আগামী দিনে এই দুগ্ধজাত পণ্যের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। বাংলার ডেয়ারিতে দুগ্ধজাত কেক বিক্রি করতে হবে।

বাংলার ডেয়ারি শুরু হওয়ার সময় রাজ্য সরকার বাংলার কৃষকদের থেকে মোট চার হাজার লিটার দুধ কিনতো। বর্তমানে সেই দুধ কেনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৩ হাজার লিটার। এর মধ্যে ১২ হাজার লিটার দুধ প্রতিদিন তরল দুধ হিসেবে বিক্রি করা হয় এবং ১০০০ লিটার দুধ থেকে দুগ্ধজাত দ্রব্য তৈরি করে বিক্রি করা হয়।