নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূম জেলা পরিষদের প্রাক্তণ সভাধিপতি মনসা হাঁসদা (Manasa Hansda) গত রাতে রাত্রি ১২:০৫ নাগাদ প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহল। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
মনসা হাঁসদা ছিলেন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) (CPIM) বীরভূম জেলা কমিটির সম্পাদক এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য। বামফ্রন্টের জামানায় তিনি ২০০৩ সাল থেকে ৫ বছরের জন্য ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। এর পাশাপাশি তিনি আদিবাসীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে যেমন জেলার রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ঠিক তেমনি আপামর গ্রামবাসী শোকোস্তব্ধ।
জনপ্রিয় এই নেতা বীরভূমের বোলপুর মহকুমার সিয়ান মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের ধান্যসারা গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ কয়েক দিন ধরেই তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতেই ছিলেন। এরই মধ্যে গতকাল রাতে হঠাৎ তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বীরভূম জেলা বামফ্রন্টের তরফ থেকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় এবং এদিন দলীয় কর্মসূচি বাতিল করা হয় বামফ্রন্টের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি বীরভূম জেলার প্রতিটি বামফ্রন্ট দলীয় কার্যালয়ে এ দিন তাদের দলীয় পতাকা অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ সিউড়ির বামফ্রন্টের দলীয় কার্যালয়ে আনা হলে দল-মত-নির্বিশেষে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা সেখানে এসে হাজির হন এবং তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে যান। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এদিন উপস্থিত হন সিউড়ী শহর তৃণমূল নেতা কর্মীরা, বীরভূম জেলা বিজেপির নেতা কর্মীরা, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের অন্যান্য শরিক দলের নেতাকর্মীরা।
বামফ্রন্টের এই প্রবীণ নেতার মরদেহ এদিন সিউড়ি দলীয় কার্যালয় থেকে পুনরায় নিয়ে যাওয়া হবে গ্রামে এবং সেখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে দলীয় সূত্রে।