নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যে চলছে তদন্ত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টাকার বিনিময়ে চাকরি অথবা নেতা, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের চাকরি নিয়ে এই নানান প্রশ্ন উঠছে। এরই মধ্যে নদিয়ায় শোরগোল পড়েছে এক প্রাথমিক শিক্ষিকাকে নিয়ে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেট ফেল করে স্বামীর সাড়ে ৭ লক্ষ টাকায় চাকরিতে নিযুক্ত হন এবং পরে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দেন।
যে প্রাথমিক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি হলেন পাপিয়া মুখার্জি। কল্যাণীর বাসিন্দা পাপিয়া মুখার্জি ২০১৭ সালে রানাঘাটের হবিবপুরের রাঘবপুর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন। তবে সম্প্রতি প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে তদন্ত শুরু হয়েছে সেই সময় ওই শিক্ষিকার প্রাক্তন স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাস এমন অভিযোগ আনলে তাকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে দাবি।
তবে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে মুখ খুলেছেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা পাপিয়া মুখার্জি। তিনি দাবি করেছেন, বিবাহ বিচ্ছেদের কারণেই এমন অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তাকে সম্প্রতি সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। এর পরিপ্রেক্ষিতে জয়ন্ত বিশ্বাস জানিয়েছেন, “চারদিকে শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে এর পরিপ্রেক্ষিতে হঠাৎ আমাকে সিবিআই ফোন করে। আমার কাছে অনেক তথ্য জানতে চায়”।
এর পাশাপাশি জয়ন্ত বিশ্বাস আরও জানিয়েছেন, “এরপর একদিন আমাকে নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে পাপিয়া মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হলে আমি সেই সকল তথ্য জানিয়ে দিই।” জয়ন্ত আরও জানান, “পাপিয়া মুখার্জি সম্ভবত ২০১৫ সালে টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন এবং ফেল করেন। চাকরির জন্য আমার স্ত্রীর সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দাবি ছিল এবং আমি সেই টাকা যোগাড় করে দিই। এরপর আমরা আলাদা হয়ে যাই। এখন আমি আমার টাকা ফেরত চাই।”
পাপিয়া এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “টাকার প্রশ্নই আসছে না। যিনি টাকা দিয়েছেন তিনি বলবেন। ২০১৭ সালে চাকরি পাওয়ার পর ২০২০ সালে আলাদা হই। প্রচুর অশান্তি হয়। অন্যান্যরা যেভাবে চাকরি পেয়েছেন, আমিও সেই ভাবেই চাকরি পেয়েছি। আমার কাছে সমস্ত রকম কাগজপত্র আছে। আমাকে এখনো পর্যন্ত সিবিআই অথবা কোর্ট কেউ ডাকেনি বা নোটিশ পাঠায় নি।”