নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজেদের কাজ সেড়ে ২ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) স্লিপ মোডে যাওয়ার পর তাদের এখন পুনরায় জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে তাদের দুজনকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হলেও এখনও তা সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতেই ইসরোর (ISRO) প্রাক্তন চিফ কে শিবন (K Sivan) দুর্দান্ত এক আপডেট দিলেন। আর সেই আপডেট দিতে গিয়ে তিনি স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেন ‘গল্প এখানেই শেষ নয়।’
চন্দ্রযান-৩ এর কাজ এখানেই শেষ হয়ে যায়নি এমনটা বোঝাতে গিয়েই কে শিবন এমন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসরোর অ্যালার্ম পেলেই ঘুম থেকে উঠে যেতে পারে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই চন্দ্রাভিযান এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। এমনটা বোঝাতে গিয়ে তিনি প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন আজ থেকে ১৫ বছর আগের চন্দ্রযান ১ এর। তিনি মনে পড়িয়ে দিয়েছেন, ১৫ বছর আগে এই অভিযান হলেও এখনো তা প্রচুর তথ্য দিচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
ইসরোর প্রাক্তন চিফ কে শিবন জানিয়েছেন, চাঁদে সূর্যের আলো পড়তে শুরু করেছে আর সূর্যের আলো পড়তে শুরু করার পরিপ্রেক্ষিতেই চন্দ্রযান ৩ এর বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হবে। সবে সবে সূর্যের আলো পড়তে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে ইসরোর তরফ থেকে সব সিস্টেমগুলিকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হবে। এছাড়াও খতিয়ে দেখা হবে, ভিতরের যন্ত্রপাতিগুলি কাজ করার ক্ষমতায় রয়েছে কিনা।
এর পাশাপাশি প্রাক্তন ইসরো চিফ কে শিবন দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩ এর চন্দ্রাভিযান এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। কেননা এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে এবং তার জন্যই অপেক্ষা করা হচ্ছে। এর আগেও চন্দ্রযান-১ এর ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন তথ্য পরপর সে পাঠিয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের। অন্যদিকে আমরাও দেখতে পেয়েছি, চন্দ্রযান-৩ চন্দ্রাভিযানের সময় কিভাবে চন্দ্রযান-২ এর অরবিটার সাহায্য করেছে।
#WATCH | On Vikram Lander and Pragyan Rover, former ISRO Chairman K Sivan says, "We have to wait and see. It has undergone a lunar night. Now the lunar day starts. So, now they will try to wake up. If all the systems are functioning, it will be alright…This is not the end, a… pic.twitter.com/le3hpbMGcd
— ANI (@ANI) September 22, 2023
কিন্তু এখনো কেন বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে জাগানো সম্ভব হচ্ছে না তা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কে শিবন জানিয়েছেন, যন্ত্র, সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারীতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু চাঁদের হিমশীতল অবস্থা সহ্য করে ট্রান্সমিটার এবং রিসিভারের মত উপাদানগুলি কাজ করবে কিনা তাই এখন দেখার।