নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্যাশ ফর কোয়ারি মামলায় পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তিনি যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তখন তাকে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায়। পাশাপাশি তিনি কথায় কথায় বুঝিয়ে দেন, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যে শাস্তি পেয়েছেন তার প্রতিশোধ তুলবেনই। তিনি ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন।
সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নিজের স্বপক্ষে একগুচ্ছ যুক্তি পেশ করেছিলেন। আর এই যুক্তি পেশ করার সময়ই তাকে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার উদ্ধৃত করে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানাে শ্মশানে তােদের চিতা আমি তুলবই।’ এবার যেন সেই পদক্ষেপই নিতে শুরু করলেন মহুয়া মৈত্র।
পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর মহুয়া মৈত্রের সামনে এমন বহিষ্কৃত হওয়ার ঘটনায় আইনি লড়াইয়ের জন্য আদালতের দরজা খোলা ছিল। তার বহিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই মনে করা হচ্ছিল তিনি আদালতের দারস্থ হবেন। এবার ঠিক তেমনটাই করলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রাথমিকভাবে মহুয়া মৈত্র ১৫ পাতার আবেদন করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। শীঘ্রই ওই মামলার শুনানির জন্য শীর্ষ আদালতের তালিকাভুক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ? বিদেশিকে বিয়ে করেও মেলেনি সুখ! এই তৃতীয় ব্যক্তির আগমনেই নাকি ভেঙে যায় মহুয়ার সংসার!
সুপ্রিম কোর্টে মহুয়া মৈত্র যে ১৫ পাতার আবেদন জানিয়েছেন সেখানে তাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা এবং এথিক্স কমিটির রিপোর্টকে সত্যের বিকৃত বলে দাবি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন করার যে অভিযোগ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে উঠেছে সেই অভিযোগ যারা করেছিলেন তাদের মধ্যে একজন হলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং অন্যজন হলেন মহুয়া মৈত্রের প্রাক্তন জয় দেহাদ্রাই। এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে মহুয়া মৈত্র ‘আইনজীবী জয়ের উদ্দেশ্য’ অনুমেয় বলে উল্লেখ করেছেন।
এছাড়াও আবেদন পত্রে মহুয়া মৈত্র এথিক্স কমিটির পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও প্রশ্ন তুলেছেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, কিভাবে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে তদন্ত কোন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই বিষয়টি। এছাড়াও মহুয়া মৈত্র আবেদনে উল্লেখ করেছেন, মূলত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সমালোচনা করার কারণেই তাকে টার্গেট করা হয়েছে এবং টার্গেট করে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।