নিজস্ব প্রতিবেদন : দু’দিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা না দিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে তাদের উত্তীর্ণ করা যাবে না। আর এই বর্তমান কোভিড সংকটে এই রায় নিয়ে জট সৃষ্টি হয়। যদিও সোমবার এই জটের সমাপ্তি ঘটলো।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়াদের পরীক্ষা দিতে হবে ঠিকই তবে সেই পরীক্ষার মান্যতা পেল অনলাইনে। অর্থাৎ সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা হবে বাড়িতে বসেই অনলাইনে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এদিন ‘ওপেন বুক এক্সাম’ পদ্ধতিকেই সিলমোহর দেওয়া হল। অর্থাৎ এর ফলে পরীক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে বই দেখেই পরীক্ষা দিতে পারবে।
এদিন এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করার পরেই। তবে পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর কোন নির্দেশিকা দেবে না বলে জানা গিয়েছে। পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেই সমস্ত প্রক্রিয়া ঠিক করা থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
ইউজিসির গাইডলাইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন তড়িঘড়ি এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত সোমবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। আর সেই বৈঠকেই ঠিক হয় অফলাইনের পরিবর্তে অনলাইনে পরীক্ষা হবে। অনলাইনে পরীক্ষা হওয়ার পাশাপাশি থাকবে হোম অ্যাসেসমেন্ট। আর এই পরীক্ষাগুলি শেষ করতে হবে অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে। এমনকি পরীক্ষার ফলাফল অক্টোবর মাসেই প্রকাশ করা হবে।
তবে এই বৈঠকে এটাও সিদ্ধান্ত হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চাইলে ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়াদের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমেও মূল্যায়ন করতে পারে। আর যে সকল পরীক্ষার্থীরা প্রত্যন্ত এলাকার তাদের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সমস্যা থাকলে নিকটবর্তী কোনো সেন্টারের ব্যবস্থা হতে পারে অনলাইন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। আর এক্ষেত্রে ইন্টারনেটের খরচ বহন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেই।