নিজস্ব প্রতিবেদন : অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনাকার তৈরি করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের জরুরি ব্যবহারের ছাড়পত্র মিললো ভারতে। ড্রা’গ কন্ট্রোল অফ ইন্ডিয়ার সাবজেক্ট এক্সপার্ট গ্ৰুপ এই ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে শুক্রবার। ড্রা’গ কন্ট্রোল জেনারেল ওফ ইন্ডিয়া (DCGI) এবার সরকারি শিলমোহর দিলেই ভারতে শুরু হবে এই টিকাকরণ।
সিরাম ইনস্টিটিউট ও ইন্ডিয়ার সাথে ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে ১ বিলিয়ন পরীক্ষামূলক টিকার ডোজ নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের বিভিন্ন দেশের মানুষদের জন্য।
গবেষকদের বক্তব্য, কোভিশিল্ড টিকা ৭০.৪ শতাংশ কার্যকরী। এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি কোন ক্ষতিকারক উপসর্গ।
সিরাম ইনস্টিটিউট জরুরি ভিত্তিতে ব্রিটিশ ওষুধ সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশীল্ড টিকা ভারতে ব্যবহারের জন্য আবেদন করে। সেইসঙ্গে ভারত-বায়োটেকের ক্যোভাক্সিন, পিফাইজারের টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য আবেদন করা হয়।
আবেদনগুলি খতিয়ে দেখতে গত ডিসেম্বর প্রথম বৈঠকে বসে DCGI সাবজেক্ট এক্সপার্ট গ্ৰুপ। শুক্রবার নতুন বছরের প্রথম দিন বৈঠকে যাবতীয় নথি দেখার পর ভারতে কোভিশিল্ডের ছাড়পত্র দেয় সাবজেক্ট এক্সপার্ট গ্ৰুপ।
ইতিমধ্যেই গত সপ্তাহে ব্রিটেন অক্সফোর্ড-ইস্ট্রাজেনাকার টিকার ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে। শনিবার ভারতের সব রাজ্যে একযোগে টিকার ড্রাইরান হবে। চার রাজ্যে সাফল্যের সঙ্গে এই ড্রাই রান সেরে ফেলা হয়েছে।
নোভাল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কোভিশিল্ড টিকা পিফাইজার ও মডেরনা টিকার চেয়ে অনেকবেশি সস্তা ও সহজে ব্যবহার করা যাবে। ২ থেকে ৮ ডিগ্ৰি সেলসিয়াসের মধ্যে সহজেই রাখা যাবে এই টিকা। যা অন্য টিকাগুলিকে রাখা যাবে না। পিফাইজারের -৭০ ডিগ্ৰি, মডেরনার জন্যপিফাইজারের -৭০ ডিগ্ৰি, মডেরনার জন্য -২০ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস দরকার।
গবেষকদের দাবি, যদি এই টিকার পুরো ডোজ নেওয়া যায় তাহলে রোগের প্রতিরোধ করবে ৬২ শতাংশ। ইনিশিয়াল হাফ ডোজ নিলে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ।
সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, “কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন প্রাথমিক ভাবে দেওয়া হবে ভারতে। তারপর COVAX বা আফ্রিকার মতো দেশগুলিতে দেওয়া হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য এর টিকাকরণ করা ভারত ও আফ্রিকার দেশগুলিতে।”
রয়টার্স সূত্রের খবর ভারতের তৈরি
‘ভারত-বায়োটেক’ টিকার
ছাড়পত্রও দ্রুত মিলতে চলেছে।
এখন প্রশ্ন হলো ভারতে প্রথম ছাড়পত্র পাওয়া কোভিশিল্ড করোনা টিকার দাম কত?
সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা আগেই জানিয়েছিলেন, “টিকার দাম সর্বোচ্চ ৩ মার্কিন ডলার রাখা হবে। পাশাপাশি সরকার যদি চায় তাদের থেকে এই দামে কিনে নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে টিকাকরণ করতে পারেন। সেটা সম্পূর্ণ সরকারের ওপর নির্ভরশীল।”
I would like to thank @BillGates, @gatesfoundation, @GaviSeth for this key partnership of risk sharing and manufacturing of a 100 million doses, which will also ensure equitable access at an affordable price to many countries around the world. https://t.co/NDmpo23Ay8 pic.twitter.com/jNaNh6xUPy
— Adar Poonawalla (@adarpoonawalla) August 7, 2020
অর্থাৎ আদর পুনাওয়ালার কথা মতো এই টিকার দাম থাকছে ভারতীয় মুদ্রায় ২১৯ টাকার এদিক ওদিক। পাশাপাশি বিহার নির্বাচনের আগে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বিনামূল্যে সকলকে টিকা দেওয়া হবে। আর সেই আশ্বাস রাখা হলে আশা করা হচ্ছে আগামীদিনে ভারতীয়রা বিনামূল্যেই টিকা পেতে চলেছেন।