টুইন টাওয়ার ভাঙতে ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক, তৈরি হতে পারতো এই সকল মিসাইল

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে নয়ডার টুইন টাওয়ার। নির্দেশ অমান্য করে এই টুইন টাওয়ার নির্মাণের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা ভেঙে ফেলা হয়। তবে এই বিশাল উঁচু আবাসন দুটি ভাঙার জন্য যে পরিমাণ বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে তৈরি হতে পারতো একাধিক মিসাইল।

Advertisements

নয়ডার ৯৩ এ জোড়া এই টাওয়ারে ৯০০টি ফ্ল্যাট ছিল। যারা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি নির্মাতা সংস্থাকে ১২ শতাংশ সুদ দিতে হয়। এখানে রয়েছে দুটি আবাসন। যার মধ্যে একটি আবাসনের নাম হল অ্যাপেক্স। এর উচ্চতা হল ১০০ মিটার। অন্য আবাসনটির নাম সিয়ানে। এর উচ্চতা হল ৯৭ মিটার।

Advertisements

৪০ এবং ৩৯ তলা এই জোড়া আবাসন দুটি ভেঙে ফেলা হয় রবিবার দুপুর আড়াইটায়। আবাসন দুটি ভেঙ্গে ফেলার পর ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। বর্তমান মূল্যায়ন অনুযায়ী ৮০০ কোটি টাকার এই টাওয়ার দুটি ভেঙ্গে ফেলতে খরচ হয়েছে আনুমানিক ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে নির্মাতা সংস্থাদের এবং বাকি টাকা জোগাড় হবে ধ্বংসাবশেষ বিক্রি করে।

Advertisements

কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু এই টুইন টাওয়ার ভাঙ্গার জন্য বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়। যে বিস্ফোরকের পরিমাণ ৩৭০০ কেজি। ১০ বছরের এই গগনচুম্বী অট্টালিকা ভাঙার জন্য যে বিস্ফোরক ব্যবহার হয় তা ভারতের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রগুলির থেকেও বেশি শক্তিশালী। পাশাপাশি যে পরিমাণ বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে তা দিয়ে বেশ কয়েকটি মিসাইল তৈরি করা যেতে পারতো।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, টুইন টাওয়ার ধ্বংস করার জন্য যে পরিমাণ বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে তা তিনটি অগ্নি-৫ বা ১২টি ব্রহ্মস অথবা পাঁচটি পৃথ্বী মিসাইলের সমশক্তিমান। DRDO তৈরি অগ্নি-৫ -এর ওজন ৫০ কিলোগ্রাম এবং উচ্চতা ১.৭৫ মিটার। ১৫০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক যুদ্ধাস্ত্র এটি। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র হল ৩০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক দিয়ে তৈরি।

Advertisements