নিজস্ব প্রতিবেদন : ট্রাফিক নিয়ম আরও কড়া করার জন্য মোটর ভেহিকেল সংশোধনী আইন ২০১৯ আনা হয়েছে। এই আইন আনার পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুণ। আবার ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করার ক্ষেত্রে এখন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখে অনলাইনে চালান পাঠানো হয়।
দেখা যায় আপনি ট্রাফিক নিয়ম অমান্য করে গাড়ি নিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছেন অথচ ট্রাফিক পুলিশ আপনার পথ আটকাচ্ছে না। এতে আপনি যদি ভেবে থাকেন বেঁচে গেলেন তাহলে ভুল করবেন। কারণ কর্তব্যরত ওই ট্রাফিক পুলিশকে দেখা যায় আপনার গাড়ির নম্বর নোট করে রাখতে। সেই গাড়ির নম্বর এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ভিত্তিতে ফোনে মেসেজ বা বাড়িতেও চালান পাঠানো হয়।
অনেকেই এই বিষয়টিকে পরোয়া না করে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে চালানের টাকা জমা দেন না। চালানের এই টাকা অর্থাৎ ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার পরিপ্রেক্ষিতে ফাইন জমা দেওয়ার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়। সেই ফাইনের টাকা অনলাইনে অথবা ট্রাফিক পুলিশের কাছে জমা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু জমা দেওয়া না হলে বিশাল আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে হতে পারে আপনাকে।
প্রথম কথা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা জমা করা না হলে অনলাইনে টাকা জমা করা যায় না। অনলাইনে টাকা জমা করা না হলে ট্রাফিক অফিসে গিয়ে টাকা জমা করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ফের যে জায়গায় ফাইন হয়েছিল সেই জেলার নির্দিষ্ট অফিসে ছুটে যেতে হতে পারে।
দ্বিতীয় বড় বিষয় হল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফাইন জমা করা না হলে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। আদালতে একবার এই বিষয়টি গড়ালে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। সমন পাঠানো হতে পারে। এরপর আদালতে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার পাশাপাশি আদালত যে পরিমাণ জরিমানা ধার্য করবে তা আপনাকে আদালতে জমা দিতে হবে। এছাড়াও বাতিল করা হতে পারে ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ গাড়ির অন্যান্য নথি।