ফটোকপির দোকানে ছাপা হতো জাল নোট! শোরগোল বীরভূমে

নিজস্ব প্রতিবেদন : টিন দিয়ে ঘেরা একটি ছোট্ট দোকান। যে দোকানটি লটারির দোকান নামেই এলাকায় পরিচিত ছিল। সম্প্রতি ওই দোকানে ফটোকপির ব্যবসা শুরু করা হয়। ছোট্ট এই দোকানটিকে দেখে কেউ কিছু টেরই পাবেন না। অথচ এই দোকানে বসেই নাকি জাল নোট ছাপার কাজ চলত। এমন শোরগোল ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের শান্তিনিকেতনে।

বুধবার ওই দোকানে হঠাৎ হানা দেয় সিআইডি আধিকারিকরা। ওই দোকানের পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা এমনটাই দাবি করেছেন। তারপর তার দোকান থেকে একটি কালার প্রিন্ট মেশিন এবং বেশ কিছু ১০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটি এলাকায় রয়েছে ওই দোকানটি। ওই দোকানের মালিকের নাম প্রদীপ খাঁ বলে জানা যাচ্ছে। যিনি ওই এলাকার সুভাষপল্লীর বাসিন্দা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে।

জাল নোট ছাপানোর পরিপ্রেক্ষিতে যে দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই দোকানটি খুব একটা পুরাতন দোকান নয় বলেই জানা যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী দোকানদারদের থেকে। প্রথমে এই দোকানটি লটারির টিকিট বিক্রি করার জন্য খোলা হয়। এরপর ৭-১০ দিন আগে ওই দোকানে বসানো হয় একটি ফটোকপি মেশিন। কিন্তু সেই ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে যে জাল নোট ছাপানোর কাজ চলবে সেটা হয়তো কেউ টের পাননি।

প্রতিবেশী ব্যবসায়ী সঞ্জীব মাহাতো জানিয়েছেন, “দিন কয়েক আগেই এই নতুন মেশিনটি নিয়ে এসে দোকানে বসানো হয়। এরপর হঠাৎ এদিন দেখি সিআইডির তিন-চারজন আধিকারিক ওই দোকানে হানা দেন। তারপরেই সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় জাল নোট এবং ওই কালার প্রিন্ট মেশিন। আমরাতো এই বিষয়টি শুনে হতবাক হয়ে পড়েছি। শান্তিনিকেতনের মতো জায়গায় এমনটা হতে পারে ভেবে উঠতে পারছি না।”

এর পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, “আমাদের এই এলাকায় ব্যবসা সহ বিভিন্ন বিষয়ে একটা সুপরিচিতি ছিল। কিন্তু এখন এই ঘটনার ফলে এসব বদনাম হয়ে গেল।” অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সিআইডি আধিকারিকরা ওই দোকানে হানা দেওয়ার পর দোকানটি তালাবন্ধ করে চলে যান। পুনরায় ওই দোকানে তল্লাশি চালানো হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।