প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষতিপূরণ পেতে নাম নথিভুক্তকরণের সময়সীমা বেঁধে দিলো রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঠের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেই ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে বাংলা শস্য বীমা। সম্প্রতি গত কয়েক মাস ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই ক্ষতির সম্মুখীন চাষিরা। এমত অবস্থায় চাষিরা যাতে তাদের ফসলের ক্ষতিপূরণ পান তার জন্য বাংলা শস্য বীমায় নাম নথিভুক্তকরণের সময়সীমা বেঁধে দিল রাজ্য।

রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় সোমবার নবান্নে জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা তাদের ফসলের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাংলা শস্য বীমার সুযোগ পাবেন। রাজ্য সরকার এই বীমার পরিপ্রেক্ষিতে কিস্তির টাকা দেবে। তবে আলু এবং আখ চাষের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে না। যেসকল চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন তাদের আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

বর্তমানে অত্যাধুনিক উপগ্রহ-ভিত্তিক রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এবং আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্যের ভিত্তিতে ফসলের স্বাস্থ্য এবং ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়। এই প্রযুক্তি এবার খরিফ শস্য চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ধান এবং ভুট্টা এই দুটি ফসলের চাষের ক্ষেত্রে এই বিমার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

পরিসংখ্যান তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বছর খরিফ মরসুমে ফসলের ক্ষতির জন্য ১০৬ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কৃষকদের আরও বেশি সচেতন করা হয় তার জন্য গ্রামে গ্রামে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রচার চালানোর জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে।