লকডাউন থেকে ছাড় পেল কৃষকাজ, স্বস্তি ফিরলো চাষীর ঘরে

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিন চারেক আগেই দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। আর সেই দিন চারেক কাটতে না কাটতেই কিছুটা হলেও শিথিল হলো লকডাউন। লকডাউন চললেও এবার এই লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হল কৃষিকাজকে। পাশাপাশি খোলা হবে কৃষিকাজের সাথে যুক্ত দোকানপাট। এমনকি কৃষিকাজ জাতীয় পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।

লকডাউনের জেরে দেশে খাদ্যশস্যের যেন কোন রকম অভাব অনটন না হয় তার জন্য কৃষিকাজকে লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হলো বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনের লকডাউনে কৃষিকাজ বন্ধ হয়ে গেলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। আর কৃষিকাজকে লকডাউনের আওতা থেকে বাদ দেওয়ায় গ্রামীণ ভারতের একটা বিরাট অংশ অর্থনৈতিক কারফিউ থেকে মুক্তি পেল বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষিকাজকে এসেনসিয়াল সার্ভিসের আওতাভুক্ত করে এমন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। যদিও এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কৃষিকাজে কোনরকম বাধা দেওয়া যাবে না। তবে কৃষিকাজকে লকডাউনের আওতা থেকে বাদ দেওয়ার ফলে অনেকেই মনে করছেন দেশের অর্ধেক মানুষ বাইরে বেরোনোর অনুমতি পেয়ে গেল। এই পরিস্থিতিতে তা বিপদজনক বলেও মনে করছেন অনেকে। কৃষিনির্ভর গ্রামীণ ভারতের প্রায় ৭০ কোটি মানুষ রয়েছেন যারা প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কৃষিকাজের সাথে যুক্ত। আর এই সকল মানুষেরা লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় পাওয়ায় আপাতত স্বস্তি ফিরল ঘরে ঘরে।

উল্লেখ্য, লকডাউন চলাকালীন বেশ কিছু জরুরী পরিষেবাকে এই লকডাউনের আওতা থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। লকডাউনের আওতার বাইরে থেকে সম্পূর্ণ সচল রয়েছে দমকল, পুলিশ, অর্থদপ্তর, এলপিজি, পেট্রোল পাম্প, বিদ্যুৎ, জল, হাসপাতাল পরিষেবা, ওষুধের দোকান, ডাক্তারখানা, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, রেশন, মুদি দোকান, ফল-সব্জি, দুধের দোকান, মাছ-মাংসের দোকান, হিমঘর, গুদাম, ব্যাঙ্ক-সহ এটিএম, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক সংবাদমাধ্যম, টেলিকম, ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা, কেবল পরিষেবা, ডাক বিভাগ। আর এবার এদের সাথে যুক্ত হলো কৃষিকাজ।