নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের কৃষকরা (Farmer) হলেন আমাদের অন্নদাতা। তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা পরিশ্রমে মাঠে মাঠে ফসল হলে বলেই আমরা দুবেলা দু’মুঠো পেটে অন্ন জোগাতে পারি। যে কারণে কৃষকদের প্রতি সরকার থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি মানুষ কৃতজ্ঞ। যে কারণেই সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প থেকে শুরু করে সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়।
দেশের কৃষকদের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি যোজনা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশের কৃষকদের বছরে ৬০০০ টাকা দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার রাজ্যের কৃষকদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ১০০০০ টাকা দিয়ে থাকে। তবে এসবকে অতীত করে এবার আরেক সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিল যাতে করে কৃষকদের ঘরে ঢুকলো ২ লক্ষ টাকার বেনিফিট।
কৃষকদের ঘরে এমন ২ লক্ষ টাকার বেনিফিট এসেছে ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে। কংগ্রেসের তরফ থেকে এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচনে তেলেঙ্গানার কৃষকদের। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, যদি কংগ্রেস সরকারে আসে তাহলে এক বছরের মধ্যেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে সরকার। এরপর তেলেঙ্গানায় সরকার গঠন করে কংগ্রেস এবং এক বছরের মধ্যে কৃষকদের এমন সুবিধা দেওয়া হলো।
তেলেঙ্গানায় গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সরকার গঠন হলে এক বছরের মধ্যে তাদের তরফ থেকে কৃষি ঋণ (Farmer Loan) মুকুব করা হবে। তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস সরকার গঠন করার পর এক বছরের মধ্যেই গত শুক্রবার ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মুকুবের ঘোষণা করলেন। এর ফলে যে সকল কৃষকরা কৃষি ঋণ নিয়েছিলেন তাদের আর সেই টাকা ফেরত দিতে হবে না।
তবে তেলেঙ্গানায় কেবল কংগ্রেস সরকার তাদের সরকার গঠনের পর এমন সিদ্ধান্ত নিল তা নয়। এর আগেও তেলেঙ্গানার চাষীদের কৃষি ঋণ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ঋণ মুকুবের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আগের সরকার আগের ১০ বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ মুকুব করেছিল। তবে এই টাকা খুব কম ছিল বলেই দাবি করা হতো বিরোধীদের তরফ থেকে এবং সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই কংগ্রেস প্রচার চালায় ও বিআরএস সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেরা ক্ষমতায় আসে।