Biometric: বহুদিন ধরেই অভিযোগ আসছে কিষান মান্ডিতে ভুয়ো চাষি পরিচয়ে মজুতদারদের রাজত্ব চলছে। যার ফলে মার খাচ্ছে আসল চাষিরা। তবে সেই দিন এবার শেষ হতে চলেছে। বেনিয়ম ও প্রতারনা রুখতে রাজ্য সরকার এবার কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে। সেই মর্মে জারি হয়েছে এক বিশেষ নির্দেশ। মূলত, ধান কেনা বেচার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম শৃঙ্খলা না মানায় এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হলেন খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ। ধান কেনার ক্ষেত্রে কোন রকমের অনিয়ম মানতে নারাজ তিনি। সেই জন্য ধান কেনার ক্ষেত্রে আধারের মাধ্যমে আগে হবে বায়োমেট্রিক (Biometric) যাচাই, তার পর ধান কেনাকিনি চলবে। এই ব্যবস্থা চালু হলে ধান কেনাতে স্বচ্ছতা থাকবে সব দিক থেকেই।
এর আগে ধান কেনার ক্ষেত্রে হয়েছে অনেক গাফিলতি সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেক অনিয়মেরও। কিন্তু এবার সেই অনিয়ম রুখতেই কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্য সরকার। অনেক ভুয়ো চাষীরা এই অনিয়ম করতে গিয়ে ধরাও পড়েছিলেন। অভিযোগ ছিল ভুয়ো চাষীর পরিচয় দিয়ে ধান বিক্রয় তারা। কিন্তু রাজ্য সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আর এই ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ বায়োমেট্রিক মেশিন এর স্ক্যানার এর দ্বারাই বোঝা যাবে কে আসল আর কে নকল। তাই এই বায়োমেট্রিক (Biometric) মেশিনের মাধ্যমে অনিয়ম রুখতে সক্ষম হবেন এমনটাই মনে করছে রাজ্য দপ্তর।
চাষীদের রেজিস্ট্রেশন এর সময়তেই নেওয়া হয় তাদের বায়োমেট্রিক (Biometric)। ধান বিক্রয়ের সময়তেও এই বায়োমেট্রিকই মিলিয়ে দেখা হবে চাষীদের ক্ষেত্রে। ধান ক্রয় কেন্দ্র চাষীদের গ্রাম থেকে সাধারণত দূরেই হয়। কিন্তু দূরত্বের জন্য যাতে তাদের ধান বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা না হয় সেইজন্য মোবাইল ক্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা থাকছে।
আরো পড়ুন: বাগডোগরা এয়ারপোর্ট নিয়ে বড়ো ঘোষণা মোদীর, ঠিক কি বললেন উনি
মোবাইল ক্রয়ের দ্বারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ধান কেনার সুবিধা পাওয়া যাবে। চাষীরা ক্রয় কেন্দ্রে আসতে না পারলেও এই মোবাইল ক্রয় অর্থাৎ মোবাইল ভ্যানের দ্বারা তাদের ধান বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে না। সত্বর উক্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কাজের গতি বেড়েছে।
এই নিয়ম যত তাড়াতাড়ি শুরু হবে রাজ্য তথা কৃষকদের জন্যও তা লাভজনক প্রতিপন্ন হবে। সরকার আশা রাখছে যে এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভুয়ো চাষিদের থেকে রেহাই মিলবে, অনিয়ম ও অনেক কমে যাবে।