DNA Test: পরিবারের কারো সাথে মিলছে না সন্তানের মুখ; কারণ জানতে উৎসুক বাবা করালেন ডিএনএ টেস্ট

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

DNA Test: মেয়ের সৌন্দর্যের কারণ জানতে উৎসুক বাবা, করালেন ডিএনএ টেস্ট। বাচ্চা মানেই সুন্দর। সুন্দর, ফুটফুটে, মিষ্টি চেহারার বাচ্চাদের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই আকর্ষণ থাকে বহু মানুষের। কিন্তু এই সৌন্দর্য যখন সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন তা বিভীষিকা হয়ে উঠতে পারে। সম্প্রতি এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। মেয়ের সৌন্দর্যে হতবাক বাবা। পরিবারের কারো সাথে মিলছে না সন্তানের মুখ। সন্দেহের জেরে করিয়ে ফেললেন ডিএনএ টেস্টও।

Advertisements

মেয়ের বয়স যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে সৌন্দর্য। কিন্তু মেয়ের মুখের সাথে মিল পাচ্ছেন না তার বাবা মায়ের সঙ্গে। শুধু বাবা মা নয়, পরিবারের কোন সদস্যের সঙ্গেই মিলছে না মুখের গঠন। এই পরিস্থিতিতে সন্দেহ তৈরি হতে শুরু করে মেয়েটির বাবার মনে। স্ত্রীর সাথে অশান্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। তিনি ধরেই নিয়েছিলেন স্ত্রী এর অবৈধ সম্পর্কের ফলাফল তাদের সন্তান। সন্দেহ দূর করতে ডিএনএ টেস্ট (DNA Test) করা হয় মেয়েটির। সেই রিপোর্ট সামনে আসতেই রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যায় পুরো পরিবার।

Advertisements

আরো পড়ুন: পেঁয়াজের অজানা গুণ, আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে এক অমূল্য রত্ন

ঘটনাটি ঘটেছে ভিয়েতনামে। যে শিশুটিকে নিয়ে আমরা কথা বলছি তার নাম ল্যান। হ্যানয় শহরে একটি স্কুলে ভর্তি হয় ল্যান। সেখানে পড়াশোনা করতে গিয়েই জানতে পারে তার এক সহপাঠীর জন্মদিন আর তার নিজের জন্মদিন একই দিনে। এমনকি তারা জন্মগ্রহণ করেছে একই হাসপাতালে। এরপর থেকে স্কুলে তাদের দুজনের জন্মদিনে একসাথে পালিত হতে শুরু করে। জন্মদিন উপলক্ষে বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল ল্যান। তাকে দেখার সাথে সাথে রীতিমতো চমকে ওঠে সেই বন্ধুর মা। কারণ ল্যানকে প্রায় তার বন্ধুর মায়ের মতনই দেখতে।

Advertisements

আরো পড়ুন: পুরোপুরি নয়, কেন ৯৯ বা ৯ তেই শেষ হচ্ছে দাম!

এরপর হং অর্থাৎ ল্যানের মায়ের সাথে যোগাযোগ করেন সেই বন্ধুর মা। তারপরেই বিষয়টি সামনে আসে। দুটি মেয়েরই চেহারা নিয়ে আলোচনা হয় দুই পরিবারের মধ্যে। ল্যানের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বাবার মনে তৈরি হওয়া সন্দেহের কথাও জানানো হয় তার বন্ধুর পরিবারকে। এর পরেই দুই পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নেয় সন্তানদের ডিএনএ টেস্ট (DNA Test) করা হবে। টেস্ট রিপোর্টেই ধরা পরে আসল কাহিনী।

পুরো ঘটনাটাই ঘটেছে হাসপাতালের গাফিলতিতে। ল্যান এবং তার বান্ধবী মূলত হাসপাতালের গাফিলতিতেই বদলে গিয়েছিল। ডিএন টেস্টের (DNA Test) মাধ্যমে এই সত্যি সামনে এসেছে। এই বিষয়ে ল্যানের মা হং জানিয়েছেন তার মেয়ের মুখের সাথে পরিবারের কোন মিল না থাকায়, ল্যানের বাবার মনে জন্ম নেয় সন্দেহ। তার জেরেই শুরু হয় অশান্তি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ল্যানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন হং। এরপর মেয়ের বয়স আরেকটু বাড়লে হ্যানয়ের একটি স্কুলে ভর্তি করেন মেয়েকে। সেখান থেকেই সামনে আসে তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া সব থেকে বড় সত্যিটা।

Advertisements